ছবি: সংগৃহীত
কর্মব্যস্ত জীবনযাপনে খানাপিনাটা যেন সময়মতো হয়ে ওঠে না। বিশেষ করে সকাল-দুপুরটা। শতটা কাজ শেষে ঘুমাতেও দেরি হয়। ফলে দিনের শুরুটাও হয় দেরিতে। কর্মস্থল বা ক্লাস। আরাম করে সকালের নাস্তা খাওয়া হয়ে ওঠে না।
দুপুরেও টিফিন টাইমে চট করে দুটো খাবার মুখে তুলেই কাজে নেমে পড়া। বলা চলে সময় ব্যয় করাও যেন রোজকার জীবনে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে জানেন কি তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার অভ্যাসটা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ক্ষতি করে নানাভাবে। খাবার নিয়ে সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি।
বদহজমে সমস্যা
হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে খাবার থেকে শরীর পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। অনেক সময় হয়তো আপনি খাবার না চিবিয়েই গিলে ফেলেন। এতে খাবার ঠিকভাবে চূর্ণ হওয়ার সুযোগ পায় না। যে কারণে দেখা দিতে পারে বদ হজমের সমস্যা। দ্রুত খেলে গলায় খাবার আটকে যেতে পারে। এতে হেঁচকি ওঠার সমস্যাও হতে পারে। যে কারণে খাবারের মধ্যে অনেকবার পানি খেতে হয় না। এতে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষমতা কমে যায়। এতেও হতে পারে বদহজমের সমস্যা।
বাড়বে ওজন
দ্রুত খেলেই বরং কমবে ওজন বাড়বে কেন! কেননা যখন আমাদের শরীরে খাবারের প্রয়োজন মেটে তখন মস্তিষ্কে বার্তা যায় যে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তখন আমরা বুঝতে পারি যে পেট ভরে গেছে। এখন আপনি যদি দ্রুত খাবার খেতে থাকেন তবে মস্তিষ্কে সঠিকভাবে বার্তা পৌঁছাতে পারে না। ফলে শরীর ঠিকভাবে বুঝতে পারার আগেই আপনি অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলেন। যে কারণে বেড়ে যেতে পারে আপনার ওজন। তাই ধীরে-সুস্থে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
ডায়াবেটিস
খাবারের সঙ্গে ডায়াবেটিসের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। ডায়াবেটিসের শিকার না হতে চাইলে খাবার খেতে হবে নিয়ম মেনে। শুধু উপকারী খাবার খেলেই হবে না, খেতে হবে সঠিক প্রক্রিয়ায়। দ্রুত খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই ধীরে-সুস্থে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আপন দেশ/এবি