ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরে-বাইরে খানিকটা স্বস্তি পেতে কারও ভরসা হাত পাখা, কারও ফ্যানের বাতাস, আবার কারও এসিতে। কিন্তু গরমের এ সময়টাতে বাড়িতে ফিরে দেখলেন লোডশেডিং। এমন অবস্থায় যাদের আইপএস বা জেনারেটর আছে তারা বেঁচে গেলেও বিপাকে পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।
তাই তারা ঘরকে সবসময় ঠান্ডা করতে বাড়ির আশপাশে, বারান্দায় কিংবা ঘরের ভেতরে লাগাতে পারেন কিছু বিশেষ গাছ। যেগুলো ঘরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল করে তুলবে। এসব গাছ ঘরকে অক্সিজেনে ভরিয়ে দেয়। আবার ঘরকে ঠান্ডাও করে তোলে। তাই আসুন জেনে নেই গরম থেকে বাঁচতে কোন গাছগুলোকে বাড়িতে অবশ্যই লাগাবেন।
স্নেক প্ল্যান্ট: এ গাছের মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। এর থেকে গরম হাওয়ার বদলে ঠাণ্ডা হাওয়া নির্গত হয়। আবার বাতাসে আর্দ্রতাও বজায় থাকে। স্নেক প্ল্যান্ট বাড়ির অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে এবং বাতাস দূষণমুক্ত রাখতেও ভূমিকা রাখে।
অ্যালোভেরা: বাড়িতে অ্যালোভেরা থাকলে ঘর কেবল শীতলই থাকবে তা নয়, এর রয়েছে প্রাকৃতিক ঔষধি গুণ যা বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এ গাছ বাতাসের তাপমাত্রা হ্রাস করে। ঘর গরম হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। উজ্জ্বল আলোতে এসব গাছ লাগাতে পারেন।
চাইনিজ এভারগ্রিন: এ গাছ বিষাক্ত পদার্থ দূর করে বাতাসকে পরিশুদ্ধ করার জন্য কার্যকর। বাড়িতে এ গাছ লাগালে অনেকে এ ধরনের গাছ একসঙ্গে রাখতে চেষ্টা করবেন। কারণ একসঙ্গে থাকলে এ গাছ নিজস্ব বায়ুমণ্ডলীয় বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে।
উইপিং ফিগ: এ গাছগুলো বাড়ির ভেতরেই বেশ ভালো হয়। এর ছোট ছোট পাতা বাতাসে দোলা লাগলে বেশ ভালো লাগে দেখতে। আবার এ গাছ বাড়ির তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। তবে গাছটি এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সূর্যের তাপ সরাসরি এসে পড়ে।
পামস: এর সরু সরু পাতা মিলে ঘরের মধ্যেই একটা বুনো পরিবেশের সৃষ্টি করে। এটা মানসিকভাবে গরমের অনুভব কমিয়ে দেয় বলেই মনে করেন গবেষকরা। এ গাছ বাড়িতে রাখলে ক্ষতির তুলনায় উপকারই বেশি। আবার দেখতেও বেশ সুন্দর দেখায়।
ক্যাকটাস: ঘরকে শীতল রাখতে বসার ঘরে রাখতে পারেন ক্যাকটাস। টবে লাগানোর উপযোগী কয়েকটি ক্যাকটাসের নাম হলো- একাইনো, এপিফাইলাম, নিপল, সেরিয়াস, গোল্ডেন ব্যারেল, ওল্ড লেডি, সেরিয়াস, ফনিমনসা, বানি ইয়ারস, ক্যাব ক্যাকটাস ইত্যাদি। এসব গাছ ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে বাড়িকেও রাখে শীতল।
ছোট বট জাতীয় গাছ: বনসাই বট উদ্ভিদ ঘরের বাতাস শীতল এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এ গাছ ঘরের যেস্থানে লাগানো হয় সেই স্থানসহ আশপাশে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বাড়ে।
এসব ইনডোর প্ল্যান্ট ঘরের কার্বন ডাই-অক্সাইড দ্রুত শোষণ করতে পারে। পাশাপাশি ঘরের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেয় অক্সিজেন। তাই কম খরচে ঘরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল রাখতে এ গাছগুলোকে আদর্শই বলা যায়।
আপন দেশ/এসএমএ