ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল ছুঁয়েছে। টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে তান্ডব চালাবে উপকূলীয় অঞ্চলে। এ ঘূর্ণিঝড়ে ভয়াবহতার সব লক্ষণ থাকায় হতে পারে জলোচ্ছ্বাসও। প্রবল ঝড়ের পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাড়ি ঘরের সুরক্ষায় এ কাজগুলো করতে হবে। ঝড়ের সময় কি করণীয় এ সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা। চলুন জেনে নেই-
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসার আগে যা করবেন—
- ঘরের ছাদ দেখে নিন। কোনও টালি আলগা থাকলে মেরামত করুন। দরজা জানালার কব্জাও (কপাটযোজক ধাতুর পাত) মেরামত করে নিন।
- বাড়ির কাছাকাছি থাকা মরা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন। গাছের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যাতে বাড়ির ওপর এসে না পড়ে।
- টিনের পাতলা শিট, লোহার কিছু যত্রতত্র পড়ে থাকলে একজায়গায় জড়ো করুন। নয়তো ঝড়ের সময় এর থেকে বিপদ হতে পারে।
- কাঠের তক্তা কাছে রাখুন যাতে কাঁচের জানালায় সাপোর্ট দেয়া যায়।
- ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিক যন্ত্রে চার্জ দিয়ে রাখুন।
- হালকা শুকনো খাবার মজুত রাখুন বড়সড় বিপদের জন্য।
- পর্যাপ্ত পানি মজুত রাখুন।
- যে ঘরটি সবচেয়ে নিরাপদ সেখানে আশ্রয় নিন।
- বাড়ির পোষ্য ও গবাদি পশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন।
- আর্থিক সামর্থ্য থাকলে ঘরের মধ্যে একটি পাকা গর্ত তৈরি করে নিন। জলোচ্ছ্বাসের আগে এ পাকা গর্তের মধ্যে অতি মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে সিমেন্ট দিয়ে তা বন্ধ করে দিন। যাতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় এসব অক্ষত থাকে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল শুরু হলে যা করণীয়—
- বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে টিভিতে খবরে নজর রাখুন।
- নয়তো রেডিও চালিয়ে রাখতে পারেন।
- সঠিক খবর শুনে অন্যদের প্রয়োজনে জানান। ভুয়া খবর শোনা ও শোনানো থেকে বিরত থাকুন।
- আগাম ২৪ ঘণ্টার সতর্কতা শুনে সেই মতো ব্যবস্থা নিন।
- কোনও অংশে সাইক্লোন রেমাল সতর্কতা জারি করা হলে এক্ষেত্রে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
- প্রশাসনের তৈরি বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টারে গিয়ে থাকাই শ্রেয়। এতে অনেকটা নিরাপদে থাকা যাবে।
- সঙ্গে বেশি করে শুকনো খাবার নিয়ে নিতে পারেন।
- অবশ্যই পানীয় সঙ্গে রাখুন।
- শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদা আলাদা খাবার নিয়ে নিন।
- সমস্ত ইলেক্ট্রিক জিনিসের সুইচ অফ করে দিন। প্লাগও খুলে দিতে হবে।
- সাইক্লোন থামলেই বাইরে বের হবেন না।
- ঘূর্ণিঝড় থামলেই বাইরে বের হওয়া একেবারে উচিত নয়। অপেক্ষা করুন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের। কারণ ঘূর্ণিঝড় চক্রাকারে ঘোরে। ঝড় একটু কমলেও পুনরায় আরও প্রবল বেগে অন্যদিক থেকে ঝড় আসার আশঙ্কা থাকতে পারে। তাই নিশ্চিত হতে এবং সঠিক তথ্য পেতে অপেক্ষা করুন। ওই সময় বাইরে থাকলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে।
আপন দেশ/এসএমএ