ছবি: সংগৃহীত
এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তাপমাত্রা খানিকটা কমলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। এ গরমে হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যার জেরে মৃত্যুর খবরও আসছে। এমনকি ফ্যান, মোবাইল, এসি বিস্ফোরণ হওয়ার ঘটনাও কম ঘটছে না। তাই এ সময়ে ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহারে সতর্ক হওয়া জরুরি।
আমাদের অনেকের ধারণা অতিরিক্ত গরমের ফলে এসি বিস্ফোরণ হয়, ফ্যানে আগুন লাগে। কিন্তু এটাই একমাত্র কারণ নয়। এসিতে আগুন লাগার বা হঠাৎ বিস্ফোরণ হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেই কারণগুলো জেনে সতর্ক হলেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
১. বাইরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা এবং ঘরে টানা এসি চলতে থাকলে মেশিন গরম হয়ে যেতে পারে। তার ফলে কম্প্রেসার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই অতিরিক্ত গরমের সময় একটানা এসি চালানো উচিত নয়।
২. এসির কন্ডিশনারের আশপাশে অর্থাৎ এসি যেখানে লাগানো থাকবে তার আশপাশে তাপমাত্রা যেন কম থাকে। ভুলেও ওভেন জ্বালাবেন না। ধূমপান করাও উচিত নয়। তাহলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
৩. এসির বাইরের অংশ এবং স্প্লিট এসির বাইরের ইউনিটে যেন সরাসরি সূর্যের তাপ না লাগে। তাহলে সূর্যের তাপে গরম হয়ে এসি বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
৪. অনেকে সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে এসির বাইরের অংশ ঢেকে রাখেন। কিন্তু এমনভাবে ঢেকে রাখা উচিত নয় যাতে কম্প্রেসারের তাপ বেরোনোর পথ বন্ধ হয়ে যায়।
৫. ধুলা এবং ময়লা জমেও এসির কম্প্রেসারে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত এসি পরিষ্কার করা উচিত।
৬. অনেক সময় এসির কম্প্রেসারে ধুলা জমে এবং সেটা পানির সঙ্গে মিশে মাটির মতো জমে যায়। তার উপর টানা এসি চললে কম্প্রেসার গরম হয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত এসি সার্ভিসিং করান।
৭. তিন বা ছয় মাস অন্তর এসি সার্ভিসিং করানো উচিত। এসির ভেতরের গ্যাস ফুরিয়ে গেলে সেটা পুনরায় ভরানো উচিত। অনেকে গ্যাস রিফিলিং না করেই এসি চালাতে থাকেন। এর ফলে ঘর ঠান্ডা তো হয় না, বরং কম্প্রেসার গরম হয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে।
এসি বিস্ফোরণের কারণগুলো মাথায় রেখে এবং নিয়ম মাফিক চললে প্রচণ্ড গরমেও কম্প্রেসার বিস্ফোরণ এড়ানো সম্ভব। তবে কখনও নাগাড়ে এসি চালাবেন না।
আপন দেশ/এসএমএ