Apan Desh | আপন দেশ

কাজে মনোযোগ বাড়ানোর সহজ ৭ কৌশল

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২০, ৫ জুন ২০২৪

কাজে মনোযোগ বাড়ানোর সহজ ৭ কৌশল

ছবি: সংগৃহীত

কাজে মন বসছে না! এখনকার ব্যস্ত সময়ে এ সমস্যা প্রায় প্রত্যেকের। প্রতিদিন মুখে কিছু গুঁজেই অফিস। সারাদিন একটানা কাজ। কাজের চাপও কম কিছু নয়। তা নিয়ে মাথায় হাজারটা চিন্তা কিলবিল করে। একটা সময়ে গিয়ে মনে হয়, খুব ক্লান্তি আসছে। একঘেয়েমির জেরে কাজে মনও বসে না। কাজ শুরু করলেই মনে নানা চিন্তা ভিড় করে। মনও অন্যমনস্ক হয়ে যায়। এদিকে কাজে মনোযোগ না দিলে ভুলভ্রান্তি হবেই। তাই মন ভালো রাখার ও কাজে মনোসংযোগ বাড়ানোর কিছু উপায় জেনে রাখা দরকার।

মন তার আপন গতিতেই ছুটবে। দশ দিকেই তার নজর। এ মনকে ধরেবেঁধে বশে রাখা সহজ নয়। তবে মনোবিদরা বলেন, এমন কিছু কৌশল আছে, যা মেনে চললে যেকোনও কাজেই মন বসানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, উদ্বেগও দূরে থাকবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, কী কী সেই কৌশল।

শুধু কাজেই ফোকাস করুন

জরুরি কাজ ফেলে আমরা মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে দেই। অথবা ইউটিউবে কোনও ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করি। দেখবেন, অফিসে বসেও হয় আপনি আপনার অন্যান্য গ্যাজেটের দিকে মন দিচ্ছেন, নয়তো কাজের বাইরে অন্যান্য জিনিসে মন দিয়ে ফেলছেন। এতে সময়ও যেমন নষ্ট হয়, তেমনই মনোযোগও কমতে থাকে। তাই আগে যে কাজটা করছেন, সেটা করে নিন, তারপর নাহয় বিরতি নেবেন।

সময় ধরে কাজ করুন

আজ সারাদিন কী কী কাজ করবেন, তার একটা তালিকা তৈরি করে নিন। অফিসে গিয়ে ঠিক করুন, কোন কোন কাজ জরুরি, কোনটা আগে করতে হবে। তারপর সময়কে ছোট ছোট ভাগে ভেঙে নিন। সেই সময় ধরেই কাজ শেষ করুন। পরে করব বলে কাজ ফেলে রাখলে মন বিক্ষিপ্ত হতে বাধ্য। ফলে কাজে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে।

বিরতি নিন

অনেকেই একটানা কাজ করতে থাকে। এতে একঘেয়েমি এসে যায় খুব তাড়াতাড়ি। মনোবিদরা বলেন, কাজ করুন কিন্তু বিরতি নিয়ে। মস্তিষ্ক বিশ্রাম চায়। মাঝে ৫ থেকে ১০ মিনিটের ছোট্ট বিরতি নিন। এ সময়টাতে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। সম্ভব হলে বাইরের খোলা হাওয়ায় ঘুরে আসুন। এতে মন ভালো থাকবে। বিরতির পরে কাজটাও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে করতে পারবেন।

অন্যমনস্ক মন বশে আসবে ধ্যানে

দিনে একবার অন্তত ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। কাজের চাপের কারণে এড়িয়ে যাবেন না। নিজের জন্য মিনিট দশেক সময় বার করে নিতেই হবে। ধ্যানের অভ্যাস তৈরি হলে যেকোনও কাজেই মন দেয়া সহজ হবে।

‘মাল্টিটাস্কিং’ কি ভালো?

এখনকার ছেলেমেয়েরা দশটা কাজ এক সময়ে করতেই অভ্যস্ত। ‘মাল্টিটাস্কিং’ সবক্ষেত্রে খারাপ তা নয়, কিন্তু মনোবিদেদের পরামর্শ, একটা নির্দিষ্ট সময়ে একটাই কাজ মন দিয়ে করার চেষ্টা করতে হবে। তাতে ওই কাজটাতেই মন পুরোপুরি বসবে। কাজও ভালো হবে আর ভুলও কম হবে।

টানা ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। তা হলেই মন ও মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্কের সারাদিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা টানা ঘুম জরুরি বলেই মনে করেন মনোবিদরা। ঘুম ভালো হলে দেখবেন, সকালে উঠেও মন, মেজাজ খুব তাজা লাগছে। কিন্তু যদি ঘুম ভালো না হয়, রাতভর জেগে মোবাইল, ল্যাপটপ ঘাঁটাঘাঁটি করে ঘুমের বারোটা বাজান, তাহলে দিনভর মেজাজ খিটখিটে থাকবে। অল্পেই ক্লান্তি এসে যাবে। কাজেও মন বসবে না ঠিক করে।

ঘাম ঝরুক

শরীরচর্চা করা খুব জরুরি। মন যদি ভালো রাখতে হয় ও মনঃসংযোগ বাড়াতে হয়, তাহলে দিনে অন্তত ১৫ মিনিট সময় বার করেও শরীরচর্চা করতে হবে। ঘাম ঝরলে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হবে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শরীর সতেজ থাকলে মনও তরতাজা থাকবে। দেখবেন, তখন কাজেও মন বসছে।

আপন দেশ/এসএমএৃ

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়