ছবি: সংগৃহীত
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে অনেকেই। শুধুমাত্র রাজধানী থেকেই বিভিন্ন জেলায় যাবেন কয়েক লাখ মানুষ। কিন্তু এ বাড়ি ফেরাটা আনন্দের স্থলে ভোগান্তিতে রূপ নেয় যাত্রা পথের ক্লান্তি।
বাসে বা বিভিন্ন যানবাহনে ভ্রমণের সময় আমাদের প্রায়ই চোখে পড়ে জানালা দিয়ে মাথা বের করে কেউ কেউ বমি করছেন। কিংবা সুপারভাইজারের কাছে পলিথিন চাইছেন। এ ধরনের রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা কম নয়।
বাস, প্লেন অথবা নৌকায় ভ্রমণের সময় মাথাঘোরা, বমি ভাব, মাথাব্যথা, অত্যাধিক লালা নিঃসৃত হওয়া, ক্লান্তি ও সবশেষে বমি হওয়ার ডাক্তারি নাম মোশন সিকনেস।
মোশন সিকনেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করতে হবে-
> খেতে ইচ্ছে করছে না এমন খাবার গাড়িতে ওঠার আগে খাবেন না
> বাইরের দৃশ্য দেখা যায় এমন আসনে বসুন। সামনের সিট হলে বেশি ভালো
> গাড়ি যেদিকে চলছে তার উল্টো দিকে মুখ করে বসবেন না
> জার্নিতে বই পড়া, মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
> সুযোগ থাকলে সিটের পাশের জানলা খুলে রাখুন। সতেজ বাতাস চোখে-মুখে লাগবে
> মোশন সিকনেস আছে এমন কারো পাশে না থাকাই ভালো। অন্যের দেখে নিজেরও হতে পারে
> বাসে গন্ধ থাকলে সুপারভাইজারকে এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করতে বলুন।
সঙ্গে রাখুন এসব খাবার-
> তাজা লেবুর গন্ধ নিমেষে গা গোলানো কমিয়ে দিতে পারে
> আদা হজমে সাহায্য করে বমি ভাব কাটিয়ে দেয়। মুখে রাখুন আদা কুচি
> আপেল অ্যাসিডিটি কমায়। ব্যাগে রাখুন। বমি ভাব লাগলে কামড়ে খেতে থাকুন
> জলপাই ব্যাগে রাখতে পারেন। মোশন সিকনেস কমাতে এর তুলনা নেই
> কমলার কোয়া বিটলবণ মেখে খেলে বমি ভাব কমবে। কমলা না থাকলে শুধু বিটলবণ জিভে লাগান।
তবে সব থেকে ভালো ভ্রমণের পথে কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নিলে। এতে ক্লান্তি কমবে, বমি বমি ভাব দূর হবে। যাত্রাটাও হবে আনন্দময়। এর চেয়েও ভালো হয়, পছন্দের পরিবহণে ভ্রমণ করা।
আপন দেশ/এফএআর