ছবি: সংগৃহীত
বিনিয়োগের মূল আশঙ্কাই হলো টাকা ফেরত আসবে তো? লাভ তো দূরের কথা, এমনকি টাকা হারানোর সম্ভাবনাও থেকে যায়। বিনিয়োগ সব সময়ই অনিশ্চিত। কেউই কোনও অবস্থাতেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন না বিনিয়োগের বাপারে। বিনিয়োগের সঙ্গে ঝুঁকি যেন হাতে হাত ধরে চলে। ব্যাংক বা পোস্ট অফিস ইত্যাদির কিছু প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টি একটু আলাদা। বাকি অনেক ক্ষেত্রেই বিনোয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে জীবনে ঝুঁকি না নিলে সাফল্য কখনোই দুয়ারে আসবে না। কোন খাতে বিনিয়োগ করবেন, আর কোন দিক এড়িয়ে চলবেন, তা ঠিক করতেই কপালে ভাঁজ পড়ে অনেকের। তবে ভবিষ্যতের জন্য সাশ্রয়ের কথা ভাবলে বিনিয়োগ করা ভীষণ জরুরি। নতুন বিনিয়োগকারী হলে, জেনে নিন, বিনিয়োগের আগে কী কী নিয়ম ভুললে চলবে না।
আয়ের অনন্ত ১০ শতাংশ অবসরের পরবর্তী সময়ের জন্য বিনিয়োগ করুন
প্রাথমিক পর্যায়ে রোজগারের ১০ শতাংশ হলেও অবসর পরবর্তী জীবনের জন্য বরাদ্দ রাখুন। এ অভ্যাসটি যত তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারবেন, ততই মঙ্গল। রোজগার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগের মাত্রাও বৃদ্ধি করতে হবে। তবে কখনই কোনও একটি খাতে ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করবেন না। ঝুঁকি কমাতে শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডেট ফান্ড, এসআইপি বা ফিক্সড ডিপোজ়িট-সহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগ করাই শ্রেয়।
বিনিয়োগ করুন বুঝেশুনে
বিনিয়োগের আগে নিয়মবিধিগুলি ভালো করে বুঝে নিন। অনেকেই না বুঝে একসঙ্গে অনেক টাকা বিনিয়োগ করে বসেন। পাশাপাশি, ইনভেস্টমেন্টের কাগজটিও খুঁটিয়ে পড়েন না। মন দিয়ে তা পড়ে তবে বিনিয়োগ করা উচিত। নিজে না বুঝলে প্রয়োজনে পেশাদারের সাহায্য নিতে পারেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরামর্শদাতাদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ রকম অনেক সংস্থা রয়েছে, যারা আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবে। সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এদের সাহায্য নিন।
মুনাফার অংশ বিনিয়োগ করুন
মাছের তেলেই মাছ ভাজতে হবে। নিজের পকেটের খরচ না করে পূর্বের বিনিয়োগের মুনাফার অংশ ফের কাজে লাগাতে পারেন। নিজের অবসরের টাকা কিংবা বা জমানো অর্থ কখনই বাজারে খাটাবেন না।
দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করুন
স্বল্প সময়ের জন্য নয়, বিনিয়োগ করুন দীর্ঘকালীন মেয়াদে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিনিয়োগে সুদ বাড়বেই। এতে শেষমেশ আপনারই লাভ হবে। শেয়ার বাজার থেকে চটজলদি মুনাফার লোভে না পড়ে দীর্ঘকালীন মেয়াদে গেলে, তার ফল পাবেনই। কথায় আছে না, সবুরে মেওয়া ফলে!
বাজারের খবর রাখুন
বাজারে কখন, কী চলছে সেই বিষয় সব সময় খোঁজ-খবর রাখতে হবে। খবরের কাগজ বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনিয়োগ সম্পর্কিত খুঁটিনাটি খবর পড়ুন। এতে বিনিয়োগের নানা দিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন। ফলে এ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব দিক জেনেশুনে এগোতে পারবেন।
আপন দেশ/এসএমএ