ছবি: আপন দেশ
দেশের চলমান পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জনজীবনে ক্ষণিকের জন্য হলেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ছোট থেকে বড় সবার দৈনন্দিন রুটিন সাধারণ দিনগুলোর চেয়ে ভিন্ন গতিতে চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় সবই বন্ধ। দেশের বিভিন্ন স্থানে দিন এবং রাত বেশিরভাগ সময় কারফিউ চলছে।
দিনে দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, কারফিউ চলাকালে সময় যেন আইনস্টাইনের ‘রিলেটিভিটি অব টাইম’-এর নিয়ম মেনে আপেক্ষিক হয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনে এতটাই বিশাল স্থান দখল করে রেখেছে যে, বেশিরভাগ মাধ্যম বন্ধ থাকায় অবসরের সময় কাটতে চায় না। বিশেষ করে কম বয়েসি (টিন এজার)-দের এ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া অকার্যকরিতার এ সময়টিকে অভ্যাস পুনর্গঠনের কাজে লাগানো যেতে পারে। অবসরের সময়কে কাজে লাগাতে নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন:
১. আমাদের সবারই এমন কিছু শখ থাকে, যার পেছনে নিত্যব্যস্ততার কারণে সময় দেয়া হয়ে ওঠে না। এসময় নিজের সে শখ পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করতে পারেন। যেমন- বই পড়া, বাগান করা, গান করা, আবৃত্তি করা, লেখালেখি করা ইত্যাদি।
২. বাড়ির আশেপাশের কোনো স্থানে হাঁটতে যেতে পারেন। হাঁটা যে বয়েসিদের জন্যই সহজ এবং উপকারী একটি ব্যায়াম। সুযোগ হলে পরিবারের সবাইকে নিযে একসাথে বের হবেন।
৩. পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনের সাথে গল্প করে সময় কাটাতে পারেন। অনেকদিন কথা হয়নি এমন বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন। পরিবারের সব সদস্যকে নিঢে একসাথে লুডু, দাবা খেলতে পারেন।
৪. চলমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উপকারী কাজ হলো বই এবং খবরের কাগজ পড়া। বইয়ের মত উপকারী বন্ধু আর হয়না। এমনিতেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন অনেকে, তাদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ।
৫. দেশে চলমান অশান্ত পরিবেশে অনেকেই নানারকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। জীবনের এ বিরল অভিজ্ঞতাগুলো দিনলিপিতে লিখে রাখতে পারেন।
৬. যারা কিছুটা অবস্থাসম্পন্ন তারা তুলনামূলকভাবে বিপদগ্রস্ত এবং সাহায্যপ্রার্থীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারেন।
৭. কথায় বলে, সুস্থ দেহে সুন্দর মন। যেকোনো পরিস্থিতিতেই দেহকে সুস্থ এবং উৎফুল্ল রাখা প্রয়োজন। যোগাসন, বক্সিং, মার্শাল আর্ট বা ধ্যানের মতো উপকারী অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
৮. পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী বা এলাকায় যারা একত্রে থাকেন, তারা সকলে মিলে পিকনিক বা বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে সময় কাটাতে পারেন।
আপন দেশ/এইউ