Apan Desh | আপন দেশ

শিশুর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কী করবেন?

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১৭ আগস্ট ২০২৪

শিশুর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কী করবেন?

ছবি: সংগৃহীত

খেলার ছলেই শিশুদের শারীরিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ হয়। পড়াশোনার জন্য বুদ্ধিমত্তার যথাযথ বিকাশ জরুরি। জরুরি, মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম করে তোলা। শিশুর মস্তিষ্কের দক্ষতা বৃদ্ধি ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশে কোন কোন বিষয়ে নজর দেয়া জরুরি, জানুন সে বিষয়গুলো।

পুষ্টি

শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে, মস্তিষ্ককে সতেজ করে তুলতে ও বৌদ্ধিক বিকাশের জন্য সঠিক পুষ্টি প্রয়োজন। ঠিক মত খাওয়া-দাওয়া শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য জরুরি। বয়স অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শিশুর খাদ্য নির্ধারণ প্রয়োজন। 

মোটামুটি ৩ বছর হলেই, শিশু অনেক কিছু খেতে শিখে যায়। ৪-৫ বছরের পর সাধারণত খাওয়া-দাওয়ায় তেমন কোনও বিধিনিষেধ থাকে না। এ বয়সে শিশুরা দ্রুত বেড়ে ওঠে। তাই কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের সঙ্গে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার দেয়া উচিত। ভিটামিন ও খনিজের অভাব দূর করতে সব্জি, ফল, বাদাম পরিমাণ মতো রাখা প্রয়োজন।

শরীরচর্চা

ছোট থেকেই শরীরচর্চার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ব্যায়াম, ছোটাছুটিতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এতে ভালো থাকে। মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিক মত হলেই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

ঘুমোনোর সময়

ছোট থেকেই শিশুর মধ্যে ভাল অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। দৈনন্দিন রুটিনে সঠিক সময়ে খেলা, পড়াশোনা, ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিলে, শিশুর ঘুম ঠিক থাকবে। মানসিক বিকাশে পর্যাপ্ত ঘুমও কিন্তু বিশেষ দরকার। ঘুম শুধু মানসিক নয়, শারীরিকভাবে তরতাজা থাকতেও সাহায্য করে।

মোবাইল-টিভি দেখা কমানো দরকার

বয়স যত কমই হোক, শিশুর সামনে মোবাইল ধরলে সে তাতে দিব্যি মজে যায়। কার্টুন হোক বা রিলস, শিশুরা এ সব দেখতে বেশ পছন্দ করে। তাদের টিভি কিংবা মোবাইল দেখতে দিলেও সময় বেঁধে দেয়া প্রয়োজন। 

ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল, টিভিতে চোখ রাখলে পড়াশোনা করতে তাদের একেবারেই ভাল লাগবে না। মোবাইল বা টিভিতে চলমান দৃশ্যাবলি থাকে। থাকে শব্দও। যেগুলির প্রভাবে বইয়ের পাতায় মন বসাতে সমস্যা হতে পারে।

পাজ়ল

বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক খেলাও কিন্তু শিশুর মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাজল, মেমরি গেম্‌সে মাথা খাটাতে হয়, মনে রাখতে হয়। খেলার ছলেই তাদের মধ্যে ভালো অভ্যাস তৈরি করা যায়। পাশাপাশি, সমবয়সীদের সঙ্গে মেলামেশা, বাইরে বেরোনো, আর পাঁচটা জিনিস দেখলেও তারা অনেক কিছু শিখতে পারে। এগুলোও তাদের বৌদ্ধিক বিকাশের সহায়ক।

আপন দেশ/এইউ

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়