ফাইল ছবি
ভালো ঘুম আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুম হলে তবেই শরীর ঠিক চাঙ্গা হয়। শুধু তাই নয়, ভালো ঘুম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। চিন্তাশক্তিরও বিকাশ ঘটে। তবে অনেক কারণে আমাদের ঘুম বিঘ্নিত হতে পারে। এর মধ্যে যেমন ঘরের সঠিক তাপমাত্রা। আরামদায়ক বিছানা এবং আরো কিছু কারণে। এসব আমাদের ভালো ঘুমের জন্য অত্যাবশ্যক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি ঘুমানোর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে খাবার খান। দুপুরের পর চা কিংবা কফি খাওয়া কমিয়ে দেন। তবে এটিও ভালো ঘুমে সহায়তা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে ঘুমালে এবং নিয়মিত সময়ে জেগে উঠলে আমাদের শরীর সার্কাডিয়ান ছন্দ কাজ করে। যা একটি প্রাকৃতিক ২৪ ঘণ্টা চক্র। এটি আলো ও অন্ধকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে ঘুমানো এবং জেগে ওঠার মাধ্যমে— এ অভ্যন্তরীণ ঘড়িটি নিয়মিত কাজ করে থাকে। যা সঠিক সময়ে ঘুম ও সঠিক সময়ে জেগে উঠতে সহজ করে তোলে।
ঘুমানোর আগে শিথিলকরণ কৌশলগুলো অনুশীলন করা শরীরকে সংকেত দেয় যে, এটি বিশ্রামের সময়। এর মধ্যে রয়েছে গভীর শ্বাস, প্রগতিশীল পেশি শিথিলকরণ এবং ৪-৭-৮ শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো কৌশলগুলো। এগুলো আমাদের চাপ কমায় এবং মনকে শান্ত রাখে।
আমদের জীবনের বড় একটি অংশ জুড়ে এ গ্যাজেট থাকায় সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও কম্পিউটারের মতো ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এ হরমোন আমাদের ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা অনিবার্য। তাই ঘুমানোর আগে এসব থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে অন্তত এক ঘণ্টা আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করবেন না। যদি সেগুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। তবে নীল আলোর ফিল্টার ব্যবহার করুন।
আপন দেশ/কেএইচ