ফাইল ছবি
প্রচণ্ড মনখারাপ এবং মেজাজ ঠিক করতে চায়ে চুমুক দেন অধিকাংশরা। ঘরে-বাইরে, বন্ধুদের সঙ্গে আউটিং, সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডাসহ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক আলাপচারিতাও চা ছাড়া হয় না। এমনিতে চা পান খারাপ নয়। কিন্তু কিছু ভুল অভ্যাসে সমস্যা হতে পারে। তাই চা পানের সঠিক সময় জানতে হবে। নয়তো নিজেকেই কষ্ট পেতে হবে।
১. অফিস থেকে ফিরে হাত-মুখ ধুয়ে এক কাপ চা পান না করলে শরীর ঠিক চাঙ্গা হয় না। ফিরতে যত রাতই হোক, চা অনেকেই হাতে চায়ের কাপ নিয়ে বসে পড়েন। আবার রাত জাগার জন্যেও অনেকে বার বার চা পান করেন। চিকিৎসকেরা মনে করেন, রাতে চা পানের অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। চায়ে থাকা থিয়োফাইলিনস দীর্ঘ ক্ষণ মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এজন্য রাতে চা পান করলে সহজে ঘুম আসে না। রাতে চা পানের অভ্যাসে অনিদ্রা রোগ দেখা দিতে পারে। রাতে চা পান করুন, তবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে চা পান করুন।
২. ভারী খাবারের সঙ্গে চা পান করবেন না। চিকিৎসকেরা মনে করেন, এতে প্রথমত হজমের গণ্ডগোল দেখা দেয়। এছাড়াও শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যায়। ঝুঁকি বাড়ে অ্যানিমিয়ার। ভারি খাবারের সঙ্গে চা পান করলে লিভারেরও নানা সমস্যা হতে পারে। তাই ভাত, রুটি, বিরিয়ানি এবং অন্য কোনও ভারী খাবারের সঙ্গে চা না পান করা শ্রেয়।
৩. ঘুম থেকে উঠেই অনেকে খালি পেটে চা পান করেন। এতে ঘুম ও আলসেমি কাটলেও অম্বল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। খালি পেটে গরম চা পান করা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এর ফলে পেপটিক আলসার, গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকদের মতে, ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই চায়ের কাপে চুমুক না দিয়ে বরং একটা বিস্কুট খেয়ে তার পর চা পান করা ভালো।
৪. পুষ্টিবিদরা মনে করেন চা পানের সঠিক সময় হলো সকাল। সকালে কাজ শুরুর আগে চা পান করতে পারেন। চায়ে থাকা ক্যাফেইন শরীর চাঙা রাখে। তবে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর চা পান করবেন।
৫. দুই বেলার খাবার খাওয়ার মাঝের সময়ে চা পান করা যাবে। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক, পেপটিক আলসার আছে তাদের চা পানে সর্তক থাকতে হবে।
আপন দেশ/কেএইচ