ফাইল ছবি
ভোজনরসিক বাঙ্গালীর কাছে বৃষ্টি মানেই দিনভর এটা ওটা ভাজাভুজি খাওয়া। আসুন জেনে নেয়া যাক বৃষ্টির দিনে ভাজাভুজি ছাড়াও আর কী খাওয়া যেতে পারে।
নুডলস: বৃষ্টির দিনে ঝটপট রান্না করে খাওয়া যায় এমন তালিকায় প্রথমেই আছে নুডলস। বৃষ্টির ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে গরম-গরম নুডলস খেতে কার না ভালো লাগে। সকালের নাস্তায় বানিয়ে নিতে পারেন স্যুপি নুডলস অথবা শুধু তেলে ভাজা কিংবা সেদ্ধ নুডলস।
খিচুড়ি: বৃষ্টি আর খিচুড়ি যেন একে অন্যের পরিপূরক। সঙ্গে যদি থাকে ইলিশ ভাজা, আলু ভর্তা তাহলে তো কথাই নেই। ভর্তা করা ঝামেলা মনে হলে একটা ডিম ভেজে নিন, জমে যাবে দুপুরের খাবার।
পাকোড়া: মুচমুচে পাকোড়ার খেতে পারেন বৃষ্টি দিনের বিকেলে বা সন্ধ্যায়। পাকোড়া ভীষণ মজার ও সুস্বাদু। পাকোড়ার সঙ্গে খানিকটা টমেটো কেচাপ কিংবা চাটনি হলে মন্দ হয় না।
চা: পাকোড়ার সঙ্গে চাই গরম চা। সঙ্গে একটু পেঁয়াজ-মরিচ-চানাচুর-সরিষা তেল দিয়ে মুড়ি মাখা হলে বৃষ্টির বিকেল বা সন্ধ্যাটা জমে ওঠে। অনেকেই গ্রিন টি বা আদা চা পান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। দুধ চা টা এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো। চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে রাখে চনমনে।
স্যুপ: বৃষ্টির দিনের শীতল আবহাওয়াতে উষ্ণতা জোগাতে খেতে পারেন স্যুপ। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন চিকেন, মাশরুম, ডিম ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন স্যুপ। ডিনার হিসেবে স্যুপটা যেমন পুষ্টিকর তেমনি সুস্বাদু।
পপকর্ন : সারাদিন খাওয়া দাওয়া শেষে রাতে মুভি দেখতে বসলে সবারই মনটা ছটফট করে কিছু একটা চিবোনোর জন্য। এক্ষেত্রে খুব ভালো আইটেম পপকর্ন। সাধারণত, ভুট্টা থেকে তৈরি হয় পপকর্ন। এ শস্যে আঁশ বা ফাইবারের পরিমাণ যেমন বিশি তেমনি আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।
আপন দেশ/কেএইচ