ফাইল ছবি
শীতকাল হল সর্দি-কাশির মেীসুম। শীতকালে ঘরে ঘরে জ্বর, নাক টানা, সর্দির সমস্যা লেগেই থাকে। তবে ইদানীং সর্দি-জ্বর আর মেীসুমি রোগ নয়। কারণ সারা বছরই ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বৃষ্টিতে ভিজেও ঠান্ডা লাগতে পারে, তেমনই প্রচণ্ড রোদে ঘাম বসেও হালকা জ্বর, সর্দির মতো সমস্যা হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যা যে হতে পারে, তা আগে থেকে বোঝা যায়। নাকবন্ধ, গলাব্যথা, কাশি, হালকা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ জানান দেয় যে, ঠান্ডা লেগেছে। এ পরিস্থিতি যাতে বাড়াবাড়ি আকার ধারণ না করে, তার জন্য এ লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়া মাত্রেই যদি কিছু ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা হলে আর সমস্যা নেই।
চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলছেন, আট থেকে আশি সর্দি-কাশি, জ্বর কাউকেই ছাড়ে না। আর এ ধরনের সমস্যা বছরের যে কোনও সময় হতে পারে। তাই একটু সাবধানে চলাফেরা করা জরুরি। তবে সাবধানে থেকেও অনেক সময় এমন হয়। তাই শুধু সাবধান নয়, একই সঙ্গে সতর্কও থাকতে হবে। ঠান্ডা লাগার সমস্যা এড়িয়ে গেলে চলবে না। বরং গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
ঠান্ডা লাগার লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়া মাত্রেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া জরুরি?
বেশি করে পানি খান:
পানি যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তা হলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে রোগের সঙ্গে লড়াই করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তাই ঠান্ডা লেগেছে মনে হলেই পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
ঠান্ডা লাগলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া জরুরি। ভারী কোনও কাজ করলে সমস্যা হতে পারে। শারীরিক সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সে ঝুঁকি না নিয়ে বরং বিশ্রাম নিন।
সুষম খাবার খাওয়া:
ঠান্ডা লাগলে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ায় জোর দিতে হবে। বাইরের খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। বাড়ির খাবার বেশি করে খান। তেল-ঝাল-মশলদার খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
মধু খেতে পারেন:
কোনও কারণে ঠান্ডা লেগেছে বুঝতে পারলেই এক চামচ মধু খান। সর্দি-কাশি সেরে যাবে দ্রুত। মধু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী। ফলে জ্বর জ্বর মনে হলেই মধু খেয়ে নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
আপন দেশ/কেএইচ