শীতকাল। ফাইল ছবি
সামনে শীত মৌসুম আসছে। এ সময়টায় দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে সর্দি কাশিতে বেশি পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে মানুষ বেশি আক্রান্ত হয় কারণ পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে সময় লাগে।
যখনই কোনো ঋতু পরিবর্তন হয় শীত থেকে গরম অথবা গরম থেকে শীত আসে তখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে, এ সময় মৃত্যুঝুঁকিটা বেশি থাকে।
যখন তীব্র শীত জাকিয়ে বসে তখন মানুষ সামঞ্জস্য হয়ে থাকে। সঠিক নিয়মটা মেনে চলে তখন খুব একটা সমস্যা দেখা দেয় না। শীতের এ সময়টাতে শীতের শুরুর এ সময়টাতে তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আছে, ডেঙ্গুতে মানুষ এখনো আক্রান্ত হচ্ছে তাই সব মিলে সচেতন অবশ্যই থাকতে হবে। শীত শুরু হওয়ার আগেই অবশ্যই নিয়ম মেনে চলতে হবে। ধুলাবালি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। শীতের সময় ধুলোবালির পরিমাণটা খুব বেশি থাকে।
এ সময় সুস্থ থাকতে কী করবেন-
>> বেশি পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার শাকসবজি ফলমূল খেতে হবে।
>> নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে। মুক্ত বাতাসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নেয়ার জন্য সকালে সন্ধ্যায় বাইরে একটু হাঁটাচলা করা নিয়মত ব্যায়াম করা খুব প্রয়োজন। সঙ্গে অবশ্যই পুষ্টিকর স্বাস্থ্যমত খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
>> সময়মতো রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব দরকার।
>> শীতের সময় শিশুরা বেশি শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা কাশি নিয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সঙ্গে বয়স্ক ব্যক্তি যারা আছেন তারাও আক্রান্ত হন। এজন্য শিশু ও বয়স্কদের আলাদা খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন। বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি দেখা যায়। তাই অবহেলা করবেন না। শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে ভালো থাকুন পরিবারকে ভালো রাখুন দেশকে ভালো রাখুন।
আপন দেশ/কেএইচ