সঙ্গীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে যা করতে পারেন। ফাইল ছবি
বিবাহিত জীবনে ভালোবাসা, পারস্পরিক বিশ্বাস এক চুল কমলেও চলবে না। অন্যথায় আপনাদের অগোচরেই টুক করে পালিয়ে যাবে ভালোবাসা। তখন হাজার চেষ্টা করেও তা ফেরানো সম্ভব হবে না। বরং একে অপরের মধ্যে বাড়তে থাকবে দূরত্ব। এমনকী ঠিক সময়ে হাল না ধরলে সম্পর্ক বিচ্ছেদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতেও পারে। তবে কিছুজন বিষয়টা বুঝেও না বোঝার ভান করেন। যে কারণে তারা স্বভাব দোষে উদ্ধত আচরণ করেন। এতে ভালোবাসা উরে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব সাবধান হোন।
কথা বলেই মেটান সমস্যা:
আপনি কি সঙ্গীর সব কথা শোনেন? তার সব দাবি মেনে নেন? উত্তর হ্যাঁ হলে যে মুশকিল! কারণ, আপনার এ ভুলের জন্যই যে ধীরে ধীরে উদ্ধত হয়ে উঠেছেন সঙ্গী। তখন তিনি খারাপ কথা বলার সাহস পেয়ে যান। তাই সবার প্রথমে নিজের ভুল শোধরান। তিনি আপনাকে কথা শোনালে আপনি তার সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন আপনার মানসিক সমস্যার কথা। আশা করছি, এ কথা শোনার পরই তার মতিগতি বদলে যাবে।
ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন:
বিয়ের বয়স বাড়লে অনেক সময় সম্পর্কে ভালোবাসা থাকে না। তখন একে অপরের উপর অকারণে চিৎকার করতে থাকেন। তাই সবার প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন। সঙ্গীর মধ্যে আদৌ ভালোবাসা রয়েছে কিনা। আর সব বিষয় খতিয়ে দেখার পর যদি দেখেন, তার মনে নেই ভালোবাসা। তাহলে ঝটপট ভালোবাসা বাড়ানোর কাজে লেগে পড়ুন। সেক্ষেত্রে তাকে একটু বেশি সময় দিন। তাঁকে ভালো ভালো কথা বলুন। তাতেই পরিস্থিতি হাতের নাগালে চলে আসবে।
নিজের মত জানান:
ব্যক্তিত্বে দৃঢ়তা না থাকলে সঙ্গীর সব কথা এড়িয়ে যাবেন। তাই আজ থেকে ব্যক্তিত্বে কিছুটা দৃঢ়তা আনতে হবে। এ বার থেকে তাকে কোনও পরামর্শ দেয়ার সময় গলায় কনফিডেন্স ঢেলে কথা বলুন। এমনকী তিনি আপনার কথার বিরুদ্ধে কিছু বললে, নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিন। তাতেই তার থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে যাবে। তার পর তিনি নিশ্চিত ভাবে শুধরে যাবেন।
নীরবতা শেষ অস্ত্র:
নানা ভাবে বোঝানোর পরও সঙ্গী উদ্ধত আচরণ করতে পারেন। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে একবারে চুপ মেরে যান। এমনকী তিনি কথা বলতে এলেও, আপনি থাকবেন স্পিকটি নট। ব্যস, তাহলেই দেখবেন সঙ্গী নিজের ভুল বুঝতে পারবেন। তার পর তিনি নিজেকে বদলে ফেলতেও চাইতে পারেন। আর এটাই যে আপনার জয় বন্ধু।
বিশেষজ্ঞই শেষ কথা বলবেন:
অনেক সময় এ ধরনের উদ্ধত আচরণের বীজ লুকিয়ে থাকে মস্তিষ্কের অনেক গভীরে। সে জায়গায় পৌঁছানো আপনার আমার কাজ নয়। তাই অনেক চেষ্টার পরও কোনও ফল না মিললে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তার কাছে সমস্যার কথা খুলে বলুন। তার পর তিনি যে সকল পরামর্শ দেবেন, সেগুলি মেনে চলুন। তা হলেই খেলা ঘুরে যাবে। একাধিক রোগ থাকবে দূরে।
আপন দেশ/কেএইচ