ফোস্কা বা বিষফোড়া। ফাইল ছবি
চিকিৎসাবিদ্যায় ফুসকুড়ি বা ফোস্কাকে বিষফোড়া বলা হয়। এটি সাধারণত দেহের লোমকূপে হয়ে থাকে। এ সমস্যাটি বিশেষ করে দেহের মুখ, বগল, পিঠ, ঘাড়, গলা, নিতম্বে হয়ে থাকে।
সাধারণত এমন ফুসকুড়ি সাদা ও হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। খুব দ্রুত দেহের অন্য স্থানেও ছড়িয়ে যেতে পারে। এ ফোস্কাগুলো খুব ব্যথাদায়ক হয়। ভেতরে পুঁজ হয়ে থাকে। কয়েকদিন গেলেই এর আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে।
দেহে এ ফোস্কা বা বিষফোড়া ব্যাকটেরিয়ার কারণে দেখা দেয়। এ ছাড়াও ফোস্কা হওয়ার আরও কিছু কারণ হলো– ক্ষতিগ্রস্ত ফলিসেল, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ঘাম প্রন্থিতে সংক্রামণ, অপরিষ্কার থাকা, দেহে পুষ্টির অভাব, ক্রনিক রোগ। তা ছাড়া যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ফোস্কা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন>>> শীতে ত্বকের যত্নে করণীয়
প্রায় সময়ই এ ধরনের ফোস্কা সমস্যাগুলো ঘরে বসেই সারিয়ে তোলা হয়। তবে দেহের ভেতরের দিকে যে ফোস্কা হয়ে থাকে তা খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। আর যদি দুই সপ্তাহের এ ফোস্কা ভালো নয়। এর কারণে জ্বর আসে তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন, সুস্থ থাকুন।
আপন দেশ/কেএইচ