ফাইল ছবি
শীত এসে গেছে। আর শীত এলেই বাড়তে শুরু করে চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস। তবে আপনার কি কখনও মনে প্রশ্ন জেগেছে, চা ও কফির মধ্যে কোনটি খাওয়া শীতে বেশি লাভজনক?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শীতে রোগব্যাধির ফাঁদ এড়াতে চা ও কফির মধ্যে কোনটা খাওয়া উচিত এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
চা, কফি দুটোতেই রয়েছে ঝটপট চাঙা হওয়ার ক্ষমতা। তবে শীতে শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে কোনটিতে ভরসা রাখবেন এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার।
পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার মনে করেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বিশাল ভান্ডার হলো চা। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদপিন্ডের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় বাড়ায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
অন্যদিকে সেরার সেরা কফি। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় কাজের মনোযোগ বাড়াতে, মুড ভালো রাখতে সিদ্ধহস্ত কফি। চায়ের মতো কফিও ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। হৃদপিন্ডের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতেও পারে কফি।
তবে চা না কফিকে শীতের সঙ্গী করবেন, এমন প্রশ্নে মীনাক্ষী বলেন, চা এবং কফি- দুটো পানীয়েরই কিছু অনন্য গুণ রয়েছে। তাই শীতে উপকারিতা পেতে এ দুই পানীয়ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
দ্রুত শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাইলে চায়ের পরিবর্তে কফিকেই বেছে নিতে পারেন। কেননা কফি শরীরে রক্ত সঞ্চালনের গতি দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই শীতে দ্রুত গরম অনুভূতি পেতে কফির দিকেই হাত বাড়াতে পারেন।
তবে তার মানে এই নয়, শীতে চায়ের কোনো উপকারীতাই নেই। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, চায়ের সঙ্গে তুলসি ও আদা মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস শীতে সর্দি-কাশির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই শীতের ডায়েট পানীয়তে চা কেও রাখতে পারেন।
মনে রাখবেন, উপকারিতা পেতে চা কিংবা কফি যাই খাওয়ার অভ্যাস করেন না কেন, তা অবশ্যই চিনি ও দুধ ছাড়া হতে হবে। আর সারাদিনে ২ কাপের বেশি চা বা কফি কখনই খাবেন না।
আপন দেশ/কেএইচ