ছবি : সংগৃহীত
দোরগোড়ায় চলে এসেছে বড়দিন। পশ্চিমা দেশগুলোর মতো অতোটা জমকালো আয়োজন না হলেও বেশ ঘটা করেই আমাদের দেশে দিনটি উদযাপিত হয়। হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে থাকে নানা আয়োজন। এ দিনে ঘর সাজানোর বাড়তি আয়োজন করেন খ্রিস্টান পরিবারগুলো।
এখনকার ছেলেমেয়েরা রেস্তরাঁ বা ক্লাবে পার্টি করতেই বেশি ভালবাসে। তবে বাড়িতেই আয়োজন করতে পারেন জমকালো পার্টির। পছন্দের মানুষেরা একত্রিত হয়ে রাত জেগে হইচই-আড্ডার মজাটাই আলাদা। কিন্তু তার জন্য সব কিছু গুছিয়ে আয়োজন করা প্রয়োজন। ঘর সাজানোর প্রচলন বাড়ায় সহজলভ্য হয়েছে সাজানোর সামগ্রী।
ঢাকায় বেশ কিছু বড় দোকানের পাশাপাশি গির্জার সামনে, রাজধানীর হলিক্রস ও বটমলী হোম বালিকা স্কুলের সামনে বড়দিনের ঘর সাজানোর সামগ্রী পাওয়া যায়।
এছাড়াও ঢাকার ফার্মগেট এলাকার ফার্মভিউ সুপার মার্কেটের দোতলায়, নিউমার্কেট, গুলশানের ডিসিসি ও পুরান ঢাকার চকবাজারে এই ধরনের উপকরণ মিলবে।
ক্রিসমাস ট্রি, ঘন্টা, হরিণ, সান্তাক্লজ, ছোট বড় গিফট বক্স, নানান রংয়ের লাইট, বেলুন, রিবন ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়।
বড়দিন মানেই ‘স্টার’ বা ‘তারা’। এই তারা মান ও উপাদান ভেদে কিনতে পাওয়া যায় দেড়শ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকার মধ্যে।
‘মেরি ক্রিসমাস’ বা ‘শুভ বড়দিন’ লেখা দেয়ালে রঙিন কাগজের দাম দেড়শ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকার মধ্যে।
ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর জন্য রঙিন বল, তারা, স্বর্গদূত, ছোট ক্রিসমাস ফাদার ইত্যাদি পাওয়া যাবে ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায়।
ক্রিসমাস ট্রি পাওয়া যায় ৪শ’ টাকা থেকে। তবে মান ও আকার ভেদে দামের পার্থক্য হয়। পাঁচ ফুটের বড় ট্রি’র দাম ২ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
রাজধানীর চকবাজারে বড়দিনের ঘরের সাজসজ্জার পসরা বসে। বিভিন্ন দামের জিনিস পাওয়া যায় এখানে।
ডিসিসি মার্কেটে মিলবে একটু উন্নত মানের সামগ্রী। এখানে সম্পূর্ণ সাজানো অবস্থায় ক্রিসমাস ট্রি পাওয়া যায় যেকারণে দাম তুলনায় বেশি।
বড়দিনের সাজসজ্জায় রঙিন বাতির ব্যবহার বেশ প্রচলিত। মরিচ বাতির পাশাপাশি বর্তমানে নানান আকারের- তারা, স্বর্গদূত, বল, ক্রিসমাস ট্রি ইত্যাদি আকারের রঙিন বাতি পাওয়া যায়। এগুলো দাম ৩শ’ টাকা থেকে শুরু।
ঢাকার নিউমার্কেট ও চকবাজারে বাতির নানান রকম দেখা যায়। আকার ভেদে দামের পার্থক্য ঘটে। তবে দামাদামি করে কিনলে সুলভে ভালো পণ্য সংগ্রহ করা যায়।
আপন দেশ/জেডআই