Apan Desh | আপন দেশ

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে যা করবেন

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে যা করবেন

প্রতীকী ছবি

রোগব্যাধি কখনও বলেকয়ে আসে না। আপনি যতই সাবধান থাকুন না কেন, কোনো না কোনো সময় আপনি যে কোনো রোগে আক্রান্ত হতেই পারেন। যেমন হঠাৎ করেই আপনার বুকে ব্যথা হতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে করণীয় সম্পর্কে ধারণা না থাকায় হার্ট অ্যাটাকের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে হয় অনেককে। 

হঠাৎ বুকে ব্যথা একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি, যাতে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। হার্টের কারণে বা কার্ডিয়াক বুকে ব্যথা (কার্ডিয়াক চেস্ট পেইন) একটি জটিল সমস্যা। বুকে ব্যথা অন্য কারণে (নন-কার্ডিয়াক চেস্ট পেইন) হলেও সঠিক রোগ নির্ণয়ের আগ পর্যন্ত কার্ডিয়াক চেস্ট পেইন হিসেবে বিবেচনা করে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া যুক্তিসংগত।

বুকে ব্যথা হৃদযন্ত্র, শ্বাসতন্ত্র, খাদ্যনালি, বুকের হাড়-মাংস, নার্ভ বা মানসিক কারণে হতে পারে। হৃদযন্ত্রের যে কোনো রোগের অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে বুকে ব্যথা। বুকে ব্যথা হলে কারণ নির্ণয়ের পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের প্রধান রোগের (ইসকেমিক হার্ট ডিজিজের) চিকিৎসা নিতে হবে। 

হার্টের কারণে বুকে ব্যথার চরিত্র  
ব্যথার অবস্থান: বুকের কেন্দ্রস্থলে।
ব্যথার প্রসারণ : মুখ, গলা, চোয়াল, ঘাড় বা হাতে প্রসারিত (রেডিয়েশন) হতে পারে। 

ব্যথার চরিত্র : বুক ভারী/চাপ লাগা, বিষম খাওয়ার অনুভূতি, দম বন্ধ হয়ে গলার নিচে চেপে ধরার মতো অনুভূতি হতে পারে। ধারালো বস্তুর আঘাতের মতো বা ছুরির গুতার মতো কিংবা পিন দিয়ে ফুটা করার মতো অনুভূতি সাধারণত হয় না। অনেকে এ বুকে ব্যথাকে অস্বস্তি বা ডিসকমফোর্ট বলে থাকেন। কার্ডিয়াক বুকে ব্যথা সাধারণত নিঃশ্বাস, কাশি বা দেহের নড়াচড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে না। 

সহযোগী সমস্যা: কার্ডিয়াক বুকে ব্যথার সঙ্গে ঘাম, বমি/বমির ভাব বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। 

হ্রাস-বৃদ্ধি: কার্ডিয়াক বুকে ব্যথা সাধারণত পরিশ্রম ও ইমোশনের সময় বেড়ে যায়। প্রচুর খাবার গ্রহণ ও শীতল তাপমাত্রার এ ব্যথা আরও তীব্র হয়। 

যেসব পরীক্ষার প্রয়োজন 
ইসিজি, সিকেএমবি, ট্রপোনিন, এক্সরেইকো, কার্ডিওগ্রাফি, ব্লাড সুগার, ক্রিয়েটিনিন সিবিসি ও ব্লাড গ্রুপ অন্যান্য (প্রয়োজনমতো)।

বুকে ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা 
যেহেতু ব্যথার কারণ নির্ণয় সময়সাপেক্ষ এবং হার্ট অ্যাটাকের জটিলতা ব্যাপক, তাই হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া শ্রেয়, যা করতে হবে–    
রোগীর জন্য পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা। 
জিহ্বার নিচে দুই চাপ নাইট্রেট স্প্রে বা একটি নাইট্রেট ট্যাবলেট দিতে হবে। 
দ্রুত কোনো কাছের হাসপাতালে পৌঁছার ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
কম বা বেশি– বুকে ব্যথা কোনোভাবে অবহেলা করা যাবে না। সময়মতো হৃদরোগ/মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো চিকিৎসা নিতে হবে এবং উপদেশমতো জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।

শেষ কথা
হার্ট অ্যাটাকের জন্য যে বুকে ব্যথা, তা হিমালয়ের মতো ভারী, তীব্র যন্ত্রণাময় ও অসহ্য। হার্ট অ্যাটাকের কষ্ট চিকিৎসা ছাড়া দূর করা যায় না। 

আপন দেশ/জেডআই

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়