
প্রতীকী ছবি
দীর্ঘমাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন বেশ ভারী খাবার খাওয়া হয়। গরমের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে এবার হঠাৎ পোলাও, কোরমা, বিরিয়ানির মতো খাবারের কারণে সমস্যা হতে পারে। বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া কিংবা ফুড পয়জনিংয়ের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদ আয়েশা আখতারের মতে, অতিরিক্ত খাবারের কারণে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। ঈদে সুস্থ থাকতে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন এ পুষ্টিবিদ।
আয়েশা আখতার বলেন, দীর্ঘ এক মাস একই নিয়মে রোজা রাখা হয়েছে। ঈদের সকালে প্রথমে খেতে হচ্ছে। সময়টা ভিন্ন তাই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া সঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে সকালের মেন্যু যেন হালকা হয়। দুধের তৈরি পায়েস বা ফলের জুস, তেল ছাড়া পাতলা পরোটা বা রুটির সঙ্গে সবজি ভাজি খেতে পারেন।
আরও পড়ুন<<>> ত্বক উজ্জ্বল হবে হাতের কাছের ৩ উপাদানে
ঈদের দিন মাংসের নানা আইটেম থাকে টেবিলে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খেলে বরাবরই কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদির মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চেষ্টা করতে হবে মাংস স্বল্প পরিমাণে খাওয়ার। ঈদে অন্তত একবেলা সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার চেস্টা করাই ভালো।
কী খাবেন:
খাবারের তালিকায় যে শুধু মাংসই রাখতে হবে এমনটা নয়। মাছ দিয়েও নানা মজার রাননা হতে পারে। মুরগির মাংসের সঙ্গে সাদা পোলাও বা খিচুড়ি হতে পারে। সব সময় খাবারের সঙ্গে রাখুন সবুজ সালাদ ও টক দই।
কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। এর বদলে দইয়ের তৈরি শরবত বা জিরা পানি খান। খেতে পারেন বোরহানিও।
ভারী খাবার খাওয়া শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নেয়া বা ঘুমিয়ে পড়া উচিত নয়। এতে শরীর ক্যালোরি বার্ন করার সুযোগ হারায়। এছাড়া এটি হজমকে ধীর করে দিতে পারে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যেহেতু ঈদ, গরু বা খাসির মাংসের কয়েক পদ রান্না তো হবেই। এক্ষেত্রে চেষ্টা করুন চর্বি পুরোপুরি ফেলে দিয়ে রান্না করার। এছাড়া অতিরিক্ত তেল বা মসলা ব্যবহারও এড়িয়ে চলুন।
আপন দেশ/এবি