ফাইল ছবি
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের বাংলা ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তখন ব্যক্তি, সমাজ, ভূখণ্ড সবই ছিল পরাধীন— রাজনৈতিক অর্থে, সামাজিক অর্থে, বৃদ্ধিবৃত্তিক অর্থে, এক কথায় বলতে গেলে সব অর্থে। বালক বয়সেই তিনি দেখেন পরাধীন তার জন্মভূমি, পরাধীন তার সমাজ, পরাধীন ব্যক্তিমানুষ। অন্যদিকে স্বাধীনতার স্পৃহা ছিল তার জন্মগত, তার নিজের কথায় তিনি ছিলেন ‘জন্মস্বাধীন’। ছোটকালেও তাকে কেউ আটকে রাখতে পারেনি কোথাও বেশিদিন। আর বড় হয়ে তিনি ঘোষণা দিয়ে বসেন কোনো প্রাকৃতিক অথবা অতিপ্রাকৃতিক শক্তি তার প্রভু নয়।
তিনি আত্মশক্তিতে বলীয়ান এবং ‘আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ।’ আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তিতে যার আস্থা আসে পূর্ণমাত্রায়— সেই মানুষকে কেউ পরাধীন করে রাখতে পারে না বেশিদিন। সেজন্যই নজরুল মানুষের আত্মিক ও ব্যক্তিত্বগত স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি এবং সেটা তার কবিজীবনের সব পর্যায়েই অপরিবর্তিত থেকেছে। তিনি বলেছেন, ‘অন্তরে যাদের এত গোলামির ভাব, তারা বাইরের গোলামি থেকে রেহাই পাবে কী ক’রে? আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে। এই আত্মনির্ভরতা যেদিন সত্যি সত্যিই আমাদের আসবে, সেদিনই আমরা স্বাধীন হব, তার আগে কিছুতেই নয়।’ (আমার পথ, নজরুলের প্রবন্ধ সমগ্র)
ভেতরের দিক স্বাধীন একজন মানুষই বলতে পারে যে, সে মানে না অন্যায় ও অবিচারমূলক কোনো আইন এবং তার মাথা হিমালয়ের চেয়েও উঁচু। একজন স্বাধীন মানুষকে স্যালুট করে সবাই। নজরুলের বিদ্রোহীর নায়ক যে মানুষ তাকে দেখে সম্ভ্রমে ও শদ্ধায় মাথা নোয়ায় সর্বোচ্চ পর্বত হিমালয় এবং সে ভগবান বা অন্যায় কর্তৃপক্ষের বুকে আঘাত করার সাহস ও সামর্থ্য রাখে। তার মাথা কোনো প্রভুর চরণতলে নত করা নয়; সে অতিক্রম করে যেতে পারে বিধাতার সর্বোচ্চ আসনের সীমাও। কিন্তু এই মানুষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী নয়, নেতিবাচক স্বেচ্ছাচারিতা তার নয়। তার আছে সমাজের প্রতি দায়বোধ। সমাজকে এবং সেপথেই পৃথিবীতে অন্যায্য প্রভুদের অত্যাচার, অবিচার ও শোষণ থেকে মুক্ত করা এবং একটি প্রেমময় শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তোলা তার স্ব-আরোপিত নৈতিক দায়িত্ব। সেজন্য প্রয়োজন ‘স্বাধীন মানুষ’। এই স্বাধীন মানুষ হওয়ার জন্য কিছুটা অহংকার ও স্বেচ্ছাচারিতাকে মেনে নিতে চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘আত্মাকে চেনা নিজের সত্যকে নিজের ভগবান মনে করার দম্ভ—আর যাই হোক, ভণ্ডামি নয়। এ-দম্ভ শির উঁচু করে, পুরুষ করে, মনে একটা “ডোন্ট কেয়ার” ভাব আনে। আর যাদের এই তথাকথিত দম্ভ আছে, শুধু তারাই অসাধ্য সাধন করতে পারবে।’ (আমার পথ, নজরুলের প্রবন্ধ সমগ্র)
কাজী নজরুল ইসলাম মানুষের আত্মিক স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন অনুভব করেছেন স্বাধীন পেশার। নিজে কাজ করে নিজের উপার্জনে চলতে পারলে অন্যের কাছে হাত পাতার কিংবা মাথা নোয়ানোর দরকার হয় না। তিনি বলেছেন, ‘সকল ভীরুতা, দুর্বলতা, কাপুরুষতা বিসর্জন দিতে হবে। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে নয়, ন্যায়ের অধিকারের দাবিতেই আমাদিগকে বাঁচতে হবে। আমরা কারো নিকট মাথানত করব না— রাস্তায় বসে জুতা সেলাই করব, নিজের শ্রমার্জিত অর্থে জীবনযাপন করব, কিন্তু কারো দয়ার মুখাপেক্ষী হব না। এই স্বাধীন চিত্ততার জাগরণ আজ বাঙলার মুসলমান তরুণদের মধ্যে দেখতে চাই। ইহাই ইসলামের শিক্ষা; এ শিক্ষা সকলকে গ্রহণ করতে বলি। আমি আমার জীবনে এ-শিক্ষাকেই গ্রহণ করেছি। দুঃখ সয়েছি, আঘাত হাসিমুখে বরণ করেছি, কিন্তু আত্মার অবমাননা কখনও করিনি। নিজের স্বাধীনতাকে কখনও বিসর্জন দেইনি। “বল বীর, চির উন্নত মম শির”—এ গান আমি আমার এ-শিক্ষার অনুভূতি হতে পেয়েছি। এ-আজাদ চিত্তের জন্ম আমি চাই।’ (স্বাধীন-চিত্ততা, নজরুলের প্রবন্ধ সমগ্র)
কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে একটি বিদ্রোহী সত্তা আছে। তাকে সেই সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠতে হবে। অন্যায়, অসাম্য, অবিচার, পরাধীনতা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধততা প্রভৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও সক্রিয়ভাবে সংগ্রামী হতে হবে। এই বিদ্রোহী সত্তাই আসলে আত্মিকভাবে স্বাধীন সত্তা। তিনি বলেছেন, ‘কিন্তু আসল প্রশ্ন হচ্ছে, এই আমার রাজা আমি— বাণী বলার সাহস আছে কোন বিদ্রোহীর? তার সোজা উত্তর— যে বীর কারুর অধীন নয়, বাইরে-ভেতরে যে কারুর দাস নয়, সম্পূর্ণ উদার, মুক্ত! যার এমন কোনো গুরু বা বিধাতা নেই যাকে ভয় বা ভক্তি ক’রে সে নিজের সত্যকে ফাঁকি দেয়, শুধু সে-ই সত্য স্বাধীন, মুক্ত স্বাধীন। এই অহম-জ্ঞান আত্মজ্ঞান—অহংকার নয়, এ হচ্ছে আপনার ওপর অটল বিরাট বিশ্বাস।’ (মোরা সবাই স্বাধীন মোরা সবাই রাজা, নজরুলের প্রবন্ধ সমগ্র)।
এই অটল বিশ্বাস, এই অহমণ্ডজ্ঞানকে জাগাতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, ‘বল, কারুর অধীনতা মানি না, স্বদেশীরও না, বিদেশীরও না।’ (পূর্বোক্ত)
কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে একটি বিদ্রোহী সত্তা আছে। তাকে সেই সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠতে হবে এই আত্মশক্তির সন্ধান এবং তার উদ্বোধন এমনি এমনি ঘটে না। এর জন্য উপযুক্ত শিক্ষার প্রয়োজন হয়। শিক্ষা যেমন স্বশিক্ষা হতে পারে, তেমনি তা হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বাধীন সত্তার বিকাশে সহায়ক করে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেছেন। মানুষের আত্মবিশ্বাসের ওপর তার আত্মিকস্বাধীনতা নির্ভর করে। যে মানুষ আপশক্তিতে আস্থা রাখে না, সে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন মানুষ হতে পারে না। এ ধরনের মানুষ বেঁচে থেকেও মৃতের সমতুল্য। এদের বলা চলে জীবন্মৃত। তিনি বলেছেন, ‘শক্তি-সিন্ধু মাঝে থাকিয়া শক্তি পেল না যে/মরিবার বহু পূর্বে মরিয়া গিয়াছে জানিও সে।’ (শক্তি)
একজন মানুষ যখন তার আত্মিকস্বাধীনতায় জেগে ওঠে, তখন সে নিজের অন্তর্গত অনিঃশেষ শক্তিও সম্ভাবনা সম্পর্কে গভীরভাবে আস্থাশীল হয়ে ওঠে। আত্মোক্তির বন্যায় ভেসে যায় উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যাবতীয় সামাজিক কুসংস্কার ও অন্ধত্বের বাধা। আত্মিকভাবে পরাধীন মানুষ বদ্ধ পুকুরের মতো, অন্যদিকে স্বাধীন মানুষ শ্রাবণের দুকূল ছাপানো নদীর সমতুল্য। নজরুলের কবিতায় আত্মিক স্বাধীনতায় জেগে ওঠা মানুষের ছবি দেখতে পাই। ‘আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে/বান ডকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার-ভাঙা কল্লোলে।’ (সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে)
আত্মিকভাবে স্বাধীন মানুষ হয় সব ধরনের কুসংস্কারমুক্ত মানুষ। তিনি যুগ যুগ ধরে চলে আসা সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্ত হন। কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট ধর্মীয় ভেদাভেদ, জাতপাত, বর্ণবাদ, অস্পৃশ্যতা ইত্যাদিতে বিশ্বাস করেন না তিনি।
আত্মিকভাবে স্বাধীন মানুষ কোনো অন্যায় অধীনতা কিংবা অন্যায় পরাজয় মেনে নিতে পারেন না। তিনি প্রতিবাদ করেন, অধীনতার শেকল ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। স্বাধীন মানুষ মানেই অদম্য মানুষ। স্বাধীন মানুষ মানেই বয়স নির্বিশেষে চিরতরুণ মানুষ। মানসিক জরা তার নয়। নিষ্পৃহতা তার নয়। উদ্যোগহীনতার নয়। উদ্যমহীনতার অচলায়তন তার নয়। সৃষ্টিবৈরী মানসিক বন্ধ্যত্ব তার নয়। তিনি প্রতিবাদী। তিনি সৃজনশীল। তিনি স্রষ্টা। তিনি উপায়। তিনি উদ্ধার। তিনি অসম শক্তির পরাধীনতার শেকল পরেই মুক্তির গান করেন, মুক্তির পথ আবিষ্কার করেন।
নজরুল রাজনৈতিক স্বাধীনতার সবচেয়ে সোচ্চার ও ধারালো কণ্ঠ। ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করে একটু বড় হয়েই বুঝেছিলেন পরাধীনতার গ্লানির মর্মজ্বালা এবং তীব্রভাবে অনুভব করেছেন রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা। তখন কংগ্রেস পার্টি স্বরাজ আর স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়ে দর-কষাকষিতে ব্যস্ত। মুসলিম লীগ চায় সেই স্বায়ত্তশাসন-স্বরাজের ক্ষমতার ভাগ। তখন নজরুল গর্জে ওঠেন—‘সর্বপ্রথম “ধূমকেতু” ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চায়। স্বরাজ-টরাজ বুঝি না, কেননা, ও-কথাটার মানে এক এক মহারথী এক এক রকম ক’রে থাকেন। ভারত বর্ষের একপরমাণু অংশও বিদেশীর অধীন থাকবে না। ভারতবর্ষের সম্পূূর্ণ দায়িত্ব, সম্পূর্ণ স্বাধীনতাণ্ডরক্ষা, শাসনভার, সমস্ত থাকবে ভারতীয়দের হাতে। তাতে কোনো বিদেশীর মোড়লী করবার অধিকারটুকু পর্যন্ত থাকবে না। যাঁরা এখন রাজা বা শাসক হয়ে এ-দেশে মোড়লী করে দেশটাকে শ্মশান-ভূমিতে পরিণত করছেন, তাদের পাততাড়ি গুটিয়ে, বোঁচকাণ্ডপুঁটলি বেঁধে সাগর-পারে পাড়ি দিতে হবে।’ (নজরুল প্রবন্ধ সমগ্র)
স্বাধীনতার জন্য দর-কষাকষি করে কাজ হবে না। আবেদন-নিবেদন করলে ব্রিটিশরাজ শুনবে না। তাই বিদ্রোহ করতে হবে। সর্বাত্মক বিদ্রোহ। নজরুলের কথায়—‘পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে সকলের আগে আমাদের বিদ্রোহ করতে হবে, সকল-কিছু নিয়ম-কানুন বাঁধন-শৃঙ্খল মানা নিষেধের বিরুদ্ধে। আর এই বিদ্রোহ করতে হলে—সকলের আগে আপনাকে চিনতে হবে। বুক ফুলিয়ে বলতে হবে—আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ!’ (নজরুল প্রবন্ধ সমগ্র)
মানুষকে স্বাধীনতার উপযুক্ত হতে হবে। স্বাধীন মানুষ হবে কুসংস্কারমুক্ত এবং উদ্ঘাটিত সত্যকে এবং বিজ্ঞানের অবিষ্কারকে স্বাগত জানানোর মতো আলোকিত মন থাকবে তার। এটাই নজরুল নানাভাবে তার কবিতায়, গানে এবং গদ্যে অভিভাষণে বলেছেন জোর দিয়ে। তিনি তার ‘ব্রিদোহী’ কবিতায় ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে। নজরুল তার কবিতায় বারবার আত্মিক স্বাধীনতার এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথা বলেছেন শতভাগ পরিষ্কারভাবে। তিনি লিখেছেন—‘যেথায় মিথ্যা ভণ্ডামি ভাই করব সেথাই বিদ্রোহ!/আমা-ধরা! জামা-ধরা! মরণ-ভীতু! চুপ রহো!/আমরা জানি সোজা কথা, পূর্ণ স্বাধীন করব দেশ!/এই দুলালুম বিজয়-নিশান, মরতে আছি—মরব শেষ।’ (বিদ্রোহী বাণী, বিষের বাঁশী)
পরাধীন জাতির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য দরকার হয় সঠিক নেতৃত্ব, জাতীয় ঐক্য এবং সৎসাহস নিবিড় সর্বাত্মক সংগ্রাম। পরাধীন ভারতে ব্রিটিশরা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিসি গ্রহণপূর্বক হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্য ও পারস্পরিক বৈরিতা সৃষ্টি করে রেখেছিল। শিক্ষা-দীক্ষায়-চাকরিতে-রাজনীতিতে তুলনামূলকভাবে অগ্রসর হিন্দু এলিট শ্রেণি ও রাজনীতিকরা ভারতের স্বাধীনতার চেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল গোপন সাম্প্রদায়িক অর্জনের দিকে। সুভাষচন্দ্র বসুর মতো দু-একজন ছাড়া কংগ্রেসের বড় নেতারা মুখে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের কথা বললেও ভেতরে ভেতরে সাম্প্রদায়িক লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট ছিলেন। ফলে মার খাচ্ছিল স্বাধীনতা সংগ্রাম। নজরুল সেটা নিবিড়ভাবে লক্ষ করেছিলেন এবং বাক্যের কশাঘাতে বিদ্ধ করেছিলেন বিষয়টিকে। ‘বুকের ভেতর ছ-পাই ন-পাই, মুখে বলিস্ স্বরাজ চাই,/স্বরাজ কথার মানে তোদের ক্রমেই হচ্ছে দরাজ তাই!/“ভারত হবে ভারতবাসীর”—এই কথাটাও বলতে ভয়!/সেই বুড়োদের বলিস্ নেতা—তাদের কথায় চলতে হয়।’ (বিদ্রোহী বাণী, বিষের বাঁশী)
নজরুল নিজেদের স্বাধীনতা চান, তেমনি অন্য সব জাতির স্বাধীনতার প্রতি উদাত্ত সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—‘মুক্ত বিশ্বে কে কার অধীন? স্বাধীন সবাই আমরা ভাই।/ভাঙিতে নিখিল অধীনতা-পাশ মেলে যদি কারা, বরবি তাই।’ নজরুল একজন মানুষের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার কবি। মানুষের যেমন রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন তার অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের অচলায়ন ভেঙে বের হয়ে আসা। পাশাপাশি দরকার অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি। এসব অর্জনের পূর্বশর্ত হচ্ছে তার আত্মিক মুক্তি ও আত্মশক্তির উদ্বোধন। নজরুল সেই সর্বমুখী পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার প্রবক্তা। স্বাধীনতার চেতনায় নজরুল সারা বিশ্বের কবিদের মাঝে অনন্য ও অতুলনীয়।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।