Apan Desh | আপন দেশ

বার্নার্ড শ, নোবেল জয়ী মজার মানুষ

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ৮ জুলাই ২০২৪

বার্নার্ড শ, নোবেল জয়ী মজার মানুষ

ছবি: প্রতীকি ছবি

জর্জ বার্নার্ড শ হাস্যরসাত্মক নাটকে বিপ্লবী ভূমিকার জন্য বিখ্যাত। বিশিষ্ট ব্রিটিশ সমাজতান্ত্রিক শ ছিলেন একজন সাহিত্য সমালোচক। তার সবচেয়ে আর্থিকভাবে সফল কাজ পিগম্যালিয়ন, জনপ্রিয় ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল মাই ফেয়ার লেডিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। তিনি ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শ’র লাভজনক লেখালেখির শুরু সঙ্গীত সাংবাদিকতা ও সাহিত্য সমালোচনার মাধ্যমে। কিন্তু তার প্রতিভার সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটে নাটকে, এছাড়াও বার্নাড শ ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক এবং ছোট গল্পকার।

জর্জ বার্নার্ড শ সাহিত্যিক হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ছিলেন। কিন্তু সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রসিকতাতেও তার জুড়ি মেলা ভার। একবার এক প্রবন্ধে বার্নার্ড শ লিখলেন, বাড়ি হলো বালিকাদের জেলখানা আর নারীদের কারখানা।

গল্পে, প্রবন্ধে লেখক তার পাণ্ডিতব্য ফলাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কোনো পাঠক এটা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করেন না। কিন্তু সে সময় এক পাঠক ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি এ প্রবন্ধটা পড়ে বার্নার্ড শ’কে লিখলেন, তাহলে, একটি বাড়িতে পুরুষের ভূমিকা কী?

বার্নার্ড শও চুপ থাকেননি। তিনি জবাব দিলেন, একই সঙ্গে একজন জেলার আর কারখানার মালিক।

বিখ্যাত আইরিশ সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ’র চেহারায় একধরনের ভারিক্কি ভাব ছিল। আর সে ভাবটা এসেছিল তার বিখ্যাত দাড়ি থেকে। 

বার্নার্ড শর এ দাড়ি তখন জগদ্বিখ্যাত।

বিখ্যাত লোকের দাড়ি তো বিখ্যাত হবেই। আর এ খ্যাতির ব্যাপারটাতেই পাখির চোখ করল এক শেভিং রেজর কম্পানি। 

কোম্পানিটি সদ্য বাজারে এনেছে এক বৈদ্যুতিক রেজার। এর প্রচারণার দরকার। সে জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চায় তারা। তাই টার্গেট করল শ’র দাড়িকেই। তারা বার্নার্ড শ’র কাছে গিয়ে প্রস্তাব দিল তাদের হয়ে বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে। বলল, নতুন রেজার দিয়েই দাড়ি শেভ করবেন শ। বিনিময়ে তারা শ-কে প্রচুর টাকা অফার করেন।

কিন্তু শ রাজি হলেন না কিছুতেই। কম্পানি দরদাম শুরু করল। কিন্তু টাকার কোনো অংকই শ’র অবস্থান বদলাতে পারল না। তখন কোম্পানিটির এক কর্তা জিজ্ঞেস করলেন, কেন শ দাড়ি শেভ করতে চান না?

জবাবে শ বললেন, ঠিক যে কারণে আমার বাবা দাড়ি শেভ করা ছেড়ে দিয়েছিলেন, ঠিক একই কারণে আমি দাড়ি রক্ষা করে চলেছি।

ঘটনাটা কী- আগ্রহী হয়ে জানতে চাইলেন কোম্পানির কর্তা।

শ বললেন, আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। একদিন বাবা দাড়ি শেভ করছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, বাবা, তুমি দাড়ি শেভ করছ কেন! তিনি এক মিনিট আমার দিকে নীরবে তাকিয়ে রইলেন। তারপর বললেন, আরে তাই তো, আমি এই ফালতু কাজ কেন করছি? তারপর সেই যে জানালা দিয়ে রেজর ছুড়ে ফেললেন, জীবনে আর কখনো তা ধরেননি।

আপন দেশ/এইউ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়