ফাইল ছবি
হাতে লেখা চিঠির জায়গা দখল করেছে ডিজিটাল মাধ্যম। পোস্ট অফিসেও টাকা লেনদেন এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দখলে। তবে সময়ের পরিবর্তনে ধীরে ধীরে পোস্ট অফিসগুলো হারিয়েছে জৌলুস। সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রচারণা বাড়াতে না পারলে, ধুঁকতে থাকা ডাক বিভাগ হারিয়ে যাবে কালের গহ্বরে। তবে রীতি মেনে এখনো ৯ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব ডাক দিবস। আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ব ডাক দিবস।
ঢাকার এক পোস্ট অফিসে আসা ষাটোর্ধ সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, পরিচিত কি, অপরিচিত। একসময় যোগাযোগের একমাত্র নির্ভরতা ছিল চিঠির মাধ্যমে। তবে সময়ের উন্মাদ ছুটে চলায় হারিয়ে গেছে গোটা গোটা অক্ষরে তা হাতে লেখা চিঠির সেই মিষ্টি গন্ধ। ঘুনে ধরেছে প্রেরক আর প্রাপকের সম্পর্কেও। প্রযুক্তির শক্ত বলয় আষ্টে-পৃষ্ঠে এখন তাকে বেধেছে ম্যাসেঞ্জার আর হোয়্যাটসীঅ্যাপে।
কালের বিবর্তনে ডাকবিভাগে এসেছে পরিবর্তন। সামান্য কিছু কাজ ছাড়া সবই হয় ডিজিটাল মেশিনে। পার্সেল কিংবা চিঠি পাঠানো। সবকিছুতেই কমেছে কর্মকর্তাদের পরিশ্রম। তাতে সেবার মান বাড়লেও কমেছে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা। তবে সংক্ষিপ্তভাবে এখনও চিঠির প্রচলন আছে কেবল সরকারি অফিস -আদালতে।
কমেছে পোস্ট অফিসে অর্থ সঞ্চয়ের প্রবণতাও। সঞ্চয়পত্র কিনতে প্রয়োজন হয় ব্যাংক একাউন্ট, লাগে ই-টিন'ও। আর পাঁচ লাখের বেশি টাকা সমমূল্যের সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগে আয়কর রিটার্ন সনদ। ডাক বিভাগের কাছে এসব নিয়ম হলেও, গ্রাহকের কাছে তা জটিলতা।
পোস্ট অফিস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার এ গল্প শুধু রাজধানীবাসীর নয়। প্রান্তিকেও আছে আক্ষেপ। সময়মতো চিঠি পাওয়া তো দূরে থাক, আছে হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগও। সেবাগ্রহীতাদের মত, সেবার মান বাড়াতে না পারলে এমন করেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে পোস্ট অফিস, পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে চিঠি।
শুধু জেলাশহরগুলোতে নয়, অচিরেই ডাকবিভাগ পিছিয়ে পরা এলাকাতেও দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে দাবি প্রান্তিক মানুষের।
আপন দেশ/মাসুম
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।