ধানমণ্ডির সফিউদ্দিন গ্যালারিতে স্বশিক্ষিত শিল্পী নাজমা কবিরের দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শিল্পকে প্রকৃতির অংশ। শিল্পকে রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে। আর শিল্পের মর্যাদা আসবে শিল্পীর মর্যাদার মাধ্যমে। একথা বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, গ্রামে-গঞ্জে অনেক শিল্পী রয়েছে তারা যেন অবহেলিত না থাকেন; শিল্পের ক্ষেত্রে শিল্পীদের প্রতি যেন বৈষম্য না থাকে তা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
উপদেষ্টা শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমণ্ডির সফিউদ্দিন গ্যালারিতে স্বশিক্ষিত শিল্পী নাজমা কবিরের দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শিল্পীদের হাওরের কান্না চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার আহবান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, হাওর-বাওরের দিকে তাকালে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু হাওর-বাওরের যে কান্না তা আমরা দেখিনা।
তিনি বলেন, ইটনা-মিঠামইন সড়কের সৌন্দর্য শিল্পীরা যেভাবে চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন কিন্তু এ সড়ক যেভাবে পানির প্রবাহকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করে মাছের ধ্বংসের কারণ হয়েছে শিল্পীরা তা ফুটিয়ে তুলছেননা। তবে উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষ প্রকৃতিকে মনের মধ্যে ধারণ করতে পারে। আজকের চিত্রের মাধ্যমে শিল্পী তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিল্পীরা শুধু পানিকে চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে না তুলে মাছ, পাখি ও অন্যান্য প্রাণীকে চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। আবার অনেক সময় শিল্পীরা নদীর পারে মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। আসলে প্রকৃতির মাঝে এগুলো যে একটি অংশ তা আমরা ভুলে যাই।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফোকাস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকালার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মো. কাওসার হোসাইন, চিত্র শিল্পী রেজা নবী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিনের প্রদর্শনীতে নাজমা কবিরের প্রায় ৬০টি জলরঙ এবং অ্যাক্রিলিক পেইন্টিং দেখতে পারবেন চিত্রপ্রেমীরা। চিত্রগুলোতে ফুটে উঠেছে শিল্পীর প্রকৃতি, প্রাকৃতিক দৃশ্য, সি-স্কেপের প্রতি গভীর ভালোবাসা।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।