
সন্জীদা খাতুন। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন (৯২) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মরহুমের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ। তিনি জানান, তার মায়ের প্রতি সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদন বুধবার ৯২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
দীর্ঘদিন ধরে সন্জীদা খাতুন ডায়াবেটিকস, নিউমোনিয়া এবং কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এর আগেও তিনি একই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গুনী এ ব্যক্তির জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে।
আরওপড়ুন<<>>দেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি: প্রধান উপদেষ্টা
সন্জীদা খাতুন কামরুন্নেসা স্কুল, ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শান্তি নিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করে ১৯৭৮ সালে সেখান থেকেই পিএইচডি করেন। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেন তিনি।
একাধারে শিল্পী, লেখক, রবীন্দ্র গবেষক, সংগঠক, সংগীতজ্ঞ ও শিক্ষক সন্জীদা খাতুন ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।
একুশে পদক, বাংলা অ্যাকাডেমি সাহিত্য পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন ছায়ানটের অন্যতম এ প্রতিষ্ঠাতা।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।