Apan Desh | আপন দেশ

জামায়াত আমীরের মুখাবয়বের সঙ্গে পাপেটের মিল নিয়ে যা বললেন শিল্পী জাহিদুল

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১ এপ্রিল ২০২৫

জামায়াত আমীরের মুখাবয়বের সঙ্গে পাপেটের মিল নিয়ে যা বললেন শিল্পী জাহিদুল

ঈদ মিচিলে গাদার পিঠে উর্টো বসানো পাপেট ও যামাত আমীর ডা. শফিকর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সুলতানি-মুঘল আমলের ঐতিহ্যকে ধারণ করে ঢাকার রাজপথে ঈদের আনন্দ মিছিল হয়েছে। আনন্দে নতুনমাত্রা যোগ করতে মিছিলে হাতি-ঘোড়া ও আলাদিনের চেরাগের জ্বিন, নানান ধরনের পাপেট প্রদর্শন করা হয়। এ মিছিলের আয়োজক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

মিছিলে প্রদর্শিত পাপেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় গাধার পিঠে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বসে থাকা পাপেট। সে পাপেটের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ভাইরাল। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা সম্পর্কে অজ্ঞরা সে পাপেটের সঙ্গে অনেকের চেহারার মিল খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন। কারও প্রশ্ন, গাধার পিঠেই বা কেন আর এভাবে উল্টোভাবে বসানো কেন পাপেটটিকে! পাপেটটি দেখতে কার সাদৃশ?

শতভাগ পাকা ব্রু, গোফবিহীন ও সফেদ দাড়ি-টুপির কারণে পাপেটটি দেখতে অনেকটা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের মতো বলে ফেসবুকে মন্তব্য অনেকের। প্রশ্ন উঠেছে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার বসে থাকার সঙ্গে ঈদের সংস্কৃতির মিল কোথায়?

সবমিলিয়ে ঈদের দিন থেকেই পাপেটটি নিয়ে নানান মন্তব্য ও হাস্যরসে মেতেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। 

এ বিষয়ে পাপেটের শিল্পী ও মিছিলের আয়োজকরা বিবিসিকে বলেছেন, পাপেটটিতে বিজ্ঞ দার্শনিক নাসিরুদ্দিন হোজ্জাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা ও জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান একই ব্যক্তিত্বের লোক না। যারা হোজ্জাকে পড়েননি তারা এমন মন্তব্য করছেন। মূলত বাংলা সাহিত্য ও মুসলিম সংস্কৃতির ইতিহাস- ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই আয়োজনে ‘হোজ্জা’ চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই পাপেটে।

পাপেটের মূল শিল্পী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হক। জামায়াতের আমীরের মুখাবয়বের সঙ্গে পাপেটের মিলে যাওয়াকে কাকতালীয় বললেন তিনি।

জাহিদুল হক বলেন, নাসিরুদ্দিন হোজ্জার পাপেট ক্যারেক্টরটি বানানোর জন্য ছবিটি নেয়া হয়েছিল একটি আরবি বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে। প্রচ্ছদের সঙ্গে নির্মিত ওই পাপেটটির চেহারার অনেক মিল রয়েছে। হয়তো এখানে পোশাকের কারণে এক ধরনের মিল পাওয়া গেছে। তবে এটা কাকতালীয়।

তিনি বলেন, জামায়াত আমীরের সঙ্গে কিছু মিল পাওয়া গেলেও, সেটি যে ইচ্ছাকৃতভাবে ওনাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টি একদমই এমন না। একই রকম মনে হলেও বা কাউকে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার মতো লাগলেও, সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক আলোচনার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, শুধুই বাচ্চাদের আনন্দ দেয়ার জন্য করা হয়েছে। এখানে বার্তা দেয়ার কোনো বিষয় ছিল না।

আয়োজক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, বাংলা সাহিত্যেও নাসিরুদ্দিন হোজ্জা চরিত্র এসেছে। এটা একটি মেটাফোরিক কারেক্টর। বাচ্চারা এসব পছন্দ করে। যে কারণে এটাকে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বিষয়টি ইতিবাচক। এখানে সমালোচনার সুযোগ নেই।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়