ছবি: সংগৃহীত
কেক কাটা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৈশভোজ এবং আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র’র মধ্যদিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেস ক্লাব ভবন ও প্রাঙ্গণ নান্দনিক আলোকসজ্জায় সাজানো হয়। আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকেল থেকে সদস্য দম্পতিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ক্লাব আঙ্গিনা।
১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাব। এ ক্লাব নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান সরকার সে সময়ে ১৮ তোপখানা রোডে মাসিক ১০০ টাকায় ভাড়ায় প্রেস ক্লাবের প্রধান কার্যালয়টি শুরু করেন। ক্রমেই এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং দেশের সব স্বাধিকার আদায় ও স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রাগ্রসর চিন্তা-চেতনার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। প্রেস ক্লাব শুধু সাংবাদিকদের ‘দ্বিতীয় বাসগৃহ’ নয়; এ দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের মিলনমেলার কেন্দ্রস্থলও।
৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান আর্কষণ ছিলেন বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সপ্তাহব্যাপী ক্লাব সদস্য, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ অক্টোবর শিশু আনন্দমেলার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এবং আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ভোরে মিনি ম্যারাথনের মধ্যদিয়ে সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সমাপ্ত হয়। আজ মিনি ম্যারাথন শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এছাড়া সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।