ছবি: আপন দেশ
গণমাধ্যম এখন শিল্প। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না। এরকম বাস্তবতায় সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত। গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী ও মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে সরকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে একই ধরণের সহযোগিতা চায়। বলেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এসব কথা বলেন। প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতায় গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা, এ শিল্পকে আরও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য আমরা চেষ্টা করতে পারি। গণমাধ্যম কীভাবে সরকার বা কর্তৃপক্ষের জন্য সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে জবাবদিহি আনতে পারে, এমনকি সমালোচনা করতে পারে, সে কাজগুলোও আমরা করতে পারি।
তিনি জানান, পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা আনার একটি দাবি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকতাকে এভাবে উন্মুক্ত ও অবারিত করেছেন, এমনভাবে স্বাধীনতা দিয়েছেন সেটা নিয়ন্ত্রণের কথা এখন সাংবাদিকরাই বলছেন। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না।
তবে যেকোন পেশায় কিছু অপেশাদার মানুষ চলে আসে। সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু শৃঙ্খলা আনার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করে। গণমাধ্যম সেক্টরে সরকার যা কিছু করবে তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে করবে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমের সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক দিক আছে। বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান করা না গেলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। এজন্য কোন গণমাধ্যমকে যদি সরকারি বিজ্ঞাপন বা ক্রোড়পত্রের উপর নির্ভরশীল করতে চাই, তাহলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকা মুশকিল হবে। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রকে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, সৃজনশীলতা আনতে হবে। কীভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায়, কীভাবে সফল হওয়া যায়।
আরও পড়ুন>> সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা: বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা-প্রতিবাদ
এ সময় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুলকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডে-এর প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, দৈনিক যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।