বক্তব্য রাখছেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা।
দেশবরেণ্য কবি, সাংবাদিক ও গীতিকার প্রয়াত খোন্দকার গোলাম মোস্তফাকে ( কে জি মোস্তফা) জাতীয় পদক প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বরেণ্য কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকরা।
তারা বলছেন, কেজি মোস্তফার মতো জ্ঞানবান ও খ্যাতিমান ব্যক্তির জাতীয় পদক পাওয়া উচিৎ ছিল। ভবিষ্যতে বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে নিতে পদক প্রদানকারীদের দৃষ্টি কামনা করা হয়। কালজয়ী গানের গীতিকার কেজি মোস্তফা সময়কে পার করে মানুষের মনে স্মরনীয় হয়ে থাকবেন।
সোমবার (৮ মে) কেজি মোস্তফার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তরা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আব্দুস সালাম হলে কে জি মোস্তফাকে নিয়ে স্মৃতিগ্রন্থ ‘ চাঁদ বুঝি তা জানে’-এর প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা। প্রবীণ সাংবাদিক এরশাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবি হাসান হাফিজ। প্রয়াত কবির জীবনালোকপাত করে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মন্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ অনুপম হায়াৎ, কবি জাহিদুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, কবি শাহীন চৌধুরী, জামাল উদ্দিন জামাল, শেলু বড়ুয়া, দেলোয়ার হাসান প্রমুখ।
স্মৃতিগ্রন্থ প্রকাশ:
প্রয়াত কবিকে নিয়ে স্মৃতিগ্রন্থ- ‘চাঁদবুঝি তা জানে’ প্রকাশ করা হয়। প্রবীণ সাংবাদিক এরশাদ মজুমদার ও কবি হাসান হাফিজের যৌথ সম্পাদনায় বইটিতে লিখেছেন ৪২ জন সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার ও কলামিষ্ট। তাতে উঠে এসেছে চৌকশ রিপোর্টার থেকে সম্পাদক, গীতিকার কে জি মোস্তফার লেখক মানস, দেশভাবনা, চিন্তা-উপলব্ধির কথাসহ কবির সঙ্গে লেখকদের নানান স্মৃতি কথা।
স্মৃতি সংসদ গঠন:
সভা শেষে কবি এরশাদ মজুমদারকে সভাপতি করে কেজি মোস্তফা স্মৃতি সংসদ গঠন করা হয়।
১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জন্ম কে জি মোস্তাফার। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। দৈনিক ইত্তেহাদে ১৯৫৮ সালে শিক্ষানবীস হিসেবে সাংবাদিকতায় যোগ দেন তিনি। ১৯৭৬ সালে তিনি বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারভুক্ত হন এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের সহকারি সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সিনিয়র সম্পাদক (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) হিসেবে অবসর নেন।
কেজি মোস্তাফা অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা। বাংলা সিনেমার কালজয়ী ও তুমুল জনপ্রিয় দুই গান ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো, চাঁদ বুঝি তা জানে’ এবং ‘আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন’ এর গীতিকার তিনি। এছাড়াও বেশকিছু কাব্যগ্রন্থ, ছড়ার বই, গানের বই ও গদ্যগ্রন্থ রয়েছে তার।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।