Apan Desh | আপন দেশ

সব কালা কানুন বাতিলের দাবিতে ডিইউজের বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫০, ৯ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ২১:১০, ৯ আগস্ট ২০২৩

সব কালা কানুন বাতিলের দাবিতে ডিইউজের বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি: আপন দেশ

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সব কালা কানুন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ। বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চলনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খাইরুল বাশার, ডিইউজের সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, শাহিন হাসনাত,  ফটোজার্নালিস্ট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এ কে এম মোহসিন, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর, জনকল্যাণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন রাজ্জাক, দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, সাবেক দফতর সম্পাদক ডিএম আমিরুল ইসলাম অমর, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাখওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী, বর্তমান নির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ, সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আল-আমিন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, এম মোশাররফ, আব্দুল্লাহ মজুমদার, ফখরুল ইসলাম, মিয়াজী সেলিম আহমেদ, সদস্য সর্দার আব্দুল কাদের, মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, রাসেল আহমেদ, ফয়জুল্লাহ মানিক, তালুকদার বেলাল, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমিন গাজী বলেন, আপনারা জানেন এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিজেদের অপকর্ম গোপন করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে একটি আইন করেছে। এরপরও তাদের মনপুত না হওয়ায় আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ধারর মতো ভয়াবহ আইন নিয়ে আসলেন। সাংবাদিক সমাজসহ সবাই এই ডিজিটাল নিরপত্তা আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তাই তারা নতুন মৌড়ক এনেছে, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সব ধারা তারা এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ২৫ লাখ টাকা জরিমানার ব্যবস্থা করেছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করা ৯০ ভাগ সরকার দলীয় লোক। এটাই প্রমাণ করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো আইন দিয়ে তারা অবৈধ শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে চায়। যারা ভাবে সরকারের তোষামোদী করে পার পেয়ে যাবে, তারা রক্ষা পাবেন না। তাই আসুন এক দফার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে সব কালাকানুন বাতিলে বাধ্য করি।

সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্য দিয়ে আপনাদের সাবধান করে দেয়া হয়েছে। রাস্তার পাশে একজন ছিনতাইকারী যদি গণপিটুনিতে মারা যায়, আর আপনি সেই নিউজ করতে গেলে ১০ বার ভাবতে হবে। কারণ তার মা গিয়ে আদালতে যদি মামলা করে যে ছিনতাইকারী শব্দ লেখায় আমার ছেলের  মানহানি হয়েছে তবে আপনার ২৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। এই আইন সংবিধান পরিপন্থী। রাতের ভোটের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এই আইন করা হয়েছে। এই আইন সাংবাদিক সমাজ মানে না।

কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিলাম। আন্তর্জাতিকভাবেও এই আইনের বিরুদ্ধে সরকারের প্রতি চাপ ছিল। সেই চাপের কারণে নাম বদল করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে নতুন আইন নিয়ে আসা হয়েছে। এটা নতুন বোতলে পুরাতন মদের ন্যায়।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, যখন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে উঠেছে তখন এই সরকার নামটা কেবল পরিবর্তন করে নতুন আইন চালু করলেন। যেখানে নিপীড়নমূলক সব ধারাগুলো রেখে দিয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে সরকার সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে। আমরা এই সরকারের পতন ঘটিয়ে এর জবাব দেব।

খুরশীদ আলম বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন প্রতিবাদ মুখর তখন সরকার নমনীয়তা দেখিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম তারা ডিজিটাল কালো আইন বাতিল করবে। কিন্তু তা না করে সরকার এদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, ভাঁওতাবাজির আশ্রয় নিয়েছে। তাই আমরা এসব কালো আইন প্রত্যাখ্যান করছি।

সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের নাম বদলে সাইবার আইনে ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। মোটকথা এই সরকার গত ১৫ বছর যাবত একের পর এক ধোকাবাজি ও প্রতারণা করে আসছে। তাই আজকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে হলে এসব আইন বাতিল করতে হবে। তাই যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে তার বিজয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

আপন দেশ/এবি/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়