ছবি: সংগৃহীত
জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এসময় আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এ অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রতি ব্যাচে শতাধিক প্রশিক্ষক নিয়ে তিন হাজার ২০০ জনকে টিটি দেয়া হবে।
একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইসি মো. আনিছুর রহমান বলেন, এখনো আমরা তারিখ ঠিক করিনি। বলা যায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম এর মাধ্যমে শুরু হয়ে গেল। এ কারণে আমরা সবাই এখানে আছি।
অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। কাজেই প্রস্তুতি প্রয়োজন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত করা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন। নয় লাখের নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলবো বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদেরকে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন <> ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামা যেভাবে
সিইসি বলেন, আমাদের সার্থকতা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে। এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ক্রেডিবিলিটি। আমাদেরকে সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং এটি বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।
নির্বাচন কোনো সহজ কর্ম নয়। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাস করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।