ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এটি তার দ্বিপাক্ষিক সফর। ভারতের নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে ঢাকার পথে রওনা হবেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানায়, এই সফরকালে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায়ও অংশ নেবেন।
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন এবং তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফরকালে তার সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে থাকছেন ইউরোপ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী কেথেরিন কলোন্না।
ফরাসী প্রেসিডেন্টের এই সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে এবং তা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে বাংলাদেশ ও ফরাসি সরকার আন্তরিকভাবে আশা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর করেন।
আরও পড়ুন <> ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোয় প্রাণহানি ২ হাজার ছাড়িয়েছে
১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তৎকালীন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ। সেই সফরের ৩৩ বছর হতে চললো। দীর্ঘ এ সময়ে আর কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঢাকায় পা রাখেননি।
এদিকে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত চাপ রয়েছে। কয়েকদিন আগে ঢাকায় রাজনৈতিক সফর করে গেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ঢাকার সঙ্গে মস্কোর রাজনৈতিকসহ সর্বস্তরে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা দিয়ে গেছেন তিনি। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা ছাড়ার দুই দিন পর ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফর নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা বিশ্লেষণ। গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সাধারণের মধ্যেও।
ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাস তাদের প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে এক বার্তায় লিখেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত বেগে বাড়ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরের মাধ্যমে সম্পর্ক বহুমুখী ও গভীর করার একটি সুযোগ তৈরি হবে।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।