ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার কাজে হাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২ নভেম্বর চূড়ান্ত করা হবে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি। আর এর পরই ঘোষণা করা হবে সংসদ নির্বাচনের তফসিল।
ইসি সূত্রগুলো জানায়, মাঠ কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া যারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করবেন, তাদেরও আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মাঠ কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজে হাত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে কর্মকর্তাদের।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানাভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য পাঠানো হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।
এরপর উপজেলা বা থানাভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০ নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পরিশোধ করে আসনভিত্তিক ওই সিডি নেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এই সিডির ভিত্তিতেই প্রার্থীরা জানতে পারেন কারা তাদের ভোটার।
গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেয়া হয় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর। আর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন <> দ্বিতীয় ধাপে একাদশে ভর্তির আবেদন আজ শুরু
সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ চার হাজার ৮৭৯ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এবার ৪২ হাজার ৪০০টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। আর ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০টি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে এই মধ্যবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটারযোগ্য হয়েছিলেন, কিন্তু ভোটার হতে পারেননি বা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার হওয়ার জন্য সুযোগ দেয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে কেউ যদি ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, সেই জন্যও আবেদন করতে পারবেন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের পর আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করা হবে।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।