Apan Desh | আপন দেশ

পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্লাবে বাংলাদেশ

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ৫ অক্টোবর ২০২৩

পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্লাবে বাংলাদেশ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠান

বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে এই ইউরেনিয়াম বুঝে নেয়া হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে (গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি) প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হস্তান্তর করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিও ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

দুই দেশের সরকার প্রধানের ঐতিহাসিক কমিশনিংয়ের মধ্যদিয়ে পরমাণু যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কাছে এই জ্বালানি হস্তান্তর করেন।

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব ছিল পাবনাজুড়ে। রূপপুর প্রকল্প ও গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। প্রকল্প এলাকাজুড়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জাতীয় পতাকার পাশাপাশি বিভিন্ন রঙের পতাকা শোভা পাচ্ছে।

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান এসে পৌঁছায়। সেদিন ঈশ্বরদীর তিনটি মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। উৎসুক এলাকাবাসী সড়কের পাশের দোকানপাট, বাসাবাড়ির ছাদ ও দূর থেকে মহাসড়ক দিয়ে ইউরেনিয়ামবাহী গাড়িবহর দেখে উল্লাস প্রকাশ করেন।

দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ অর্থ ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রুশ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি এটি পরিচালনার জন্য জনবলও তৈরি করে দিচ্ছে রাশিয়া।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালের জুলাইয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে।

আপন দেশ/ এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়