ফাইল ছবি
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। আগামী নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ‘লিটমাস পরীক্ষা’ বলেও মন্তব্য করেছে দলটি। শনিবার রাতে ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া এ দল গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করে।
সফরকালে দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের নেতা, বর্তমান ও সাবেক নারী সংসদ সদস্য (এমপি), যুবসমাজ ও প্রতিবন্ধী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে পারে এমন বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রূপরেখা হিসেবে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। তারা মূল নির্বাচনী ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনার ওপর জোর দিয়েছেন। ভিন্নমতকে সম্মান করাসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং নাগরিকদের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত রাখতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।
সুপারিশের মধ্যে সহিংসতা না করার অঙ্গীকার এবং সহিংসতা যারা করবে তাদের জবাবদিহির অঙ্গীকার করার আহ্বান স্থান পেয়েছে। পর্যবেক্ষকরা তাদের সুপারিশে বলেছে, সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনার জোরালো পরিবেশ সৃষ্টি করুন। মার্কিন পর্যবেক্ষকরা নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করে সক্রিয় একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন <> ভোটদান সুষ্ঠু হলেই সফলতা, কে আসলো না তা দেখার বিষয় না: সিইসি
প্রতিনিধিদলের অন্যতম নেতা বনি গ্লিক বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ সম্পর্কে তাদের মতামত দিয়েছেন, আমরা তাদের সবার প্রশংসা করি।’ তাদের দেয়া সুপারিশগুলো বাংলাদেশে নির্বাচনপ্রক্রিয়া উন্নত করতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করনে বনি গ্লিক।
দলের আরেক সদস্য কার্ল ইন্ডারফুর্থ বলেন, ‘আমরা মনে করি, প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা না থাকাই প্রধান সমস্যা। ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে এবং এর পরও আস্থা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়াই এই অচলাবস্থা দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায়।’
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।