Apan Desh | আপন দেশ

বাজারে যায়দিন ভালো, আসে দিন খারাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ২০ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ২৩:৫৭, ২০ অক্টোবর ২০২৩

বাজারে যায়দিন ভালো, আসে দিন খারাপ

ছবি: আপন দেশ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বার্তা বাজারে শতকে শতভাগ প্রতিফলন দেখা গেছে। রংপুরে বৃহস্পতিবার তিনি সাফ জানিয়েছেন নিত্যপণ্যের দাম কমার কোনো সুযোগ নেই।  

আজ শুক্রবার ( ২০ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সেই চিত্রটিই মিলেছে। বরং কমার বদলে অনেক পণ্যেরর দাম বেড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যের দাম কমেনি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকার নিচে মিলছে না পেঁপে ছাড়া অন্য কোনো সবজি। অধিকাংশ বিক্রি হচ্ছে একশো টাকা বা তার চেয়ে বেশি দরে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, গোল বেগুন ১২০-১৪০ টাকা এবং লম্বা বেগুন ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করলা, কচুরমুখি, বরবটি, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। আর ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। কম দামের মধ্যে মুলার কেজি ৫০-৬০ টাকা আর পেঁপে ৪০-৫০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, মোটামুটি সব ধরনের সবজির দামই বেড়েছে। কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি। লাল শাকের আঁটি মিলছে না ৩০ টাকার নিচে। পুঁইশাকের আঁটি ২৫-৩০ টাকা। শীতকালে বাজারে সাধারণত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে। তবে এ বছর বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। এজন্য ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে সবজি। 

এদিকে বেশ কয়েক মাস হলো ডিমের বাজারে চলছে অস্থিরতা। শেষ এক সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজারে কিনলে ডিমের ডজন পড়ছে ১৬০ টাকা, যা পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। মোটকথা সাধারণ মানুষের একটি ডিম খেতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। অথচ সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকারের বেঁধে দেয়া আরেক পণ্য পেঁয়াজ। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এখন দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

খুচরা দোকানীরা জানাচ্ছেন, কী কারণে দাম আবার বাড়ছে তা বলতে পারি না। আমরাওতো বেশি দামেই কিনছি। ক্রেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়ছি সারাক্ষণ।  

অন্যদিকে, দাম বাড়তি মাছ-মাংসেরও। কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কম আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি কেনেন পাঙাশ, চাষের কই ও তেলাপিয়া জাতীয় মাছ। বাজারে এগুলোর কেজি এখন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া রুই, কাতলা, কালিবাউশ ও মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। যা কয়েক সপ্তাহ আগের তুলনায় ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি বলে জানিয়েছেন মাছ বিক্রেতারা।

ক্রেতা আসলাম উদ্দিন ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহেই জিনিসের দাম ১০/১৫ টাকা বেড়েছে। এভাবে সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়লে আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা কিভাবে চলবে বলেন?

সবজি বিক্রেতা আলম জানান, সামনে মাস থেকে সবজির দাম আশা করি কমতে শুরু করবে। এ বছর বৃষ্টির কারণে শীতাকালীন সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। বাজারে এখন যে চাহিদা রয়েছে সে চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই। ফলে দামও কিছুট বাড়তি।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়