ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে বিএনপি এসে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করতে পারে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দলীয় এমপিদের সতর্ক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, পশ্চিমা শক্তির অনেকেই বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচাল করে তাদের পোষ্য সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আজ রোববার (২২ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, বিভেদ ভুলে সবাইকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, পুরোপুরি পচাত্তরের পূর্বাবস্থা বিরাজ করছে। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন এবার হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সবাইকে জিতে আসতে হবে। কমপক্ষে ৬০ ভাগ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত করতে হবে। যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন, তারা সবাই মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। আমার কাছে সার্ভে রিপোর্ট রয়েছে। ছয় মাস পরপর করা সার্ভে রিপোর্ট আমার হাতে রয়েছে। জয়ের সম্ভাবনা যার বেশি তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।’
কাউকে জয়ী করার দায়িত্ব নিতে পারব না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এই ভোটে সবাইকে জিতে আসতে হবে। কাউকে জিতে আনার দায়িত্ব আমি নিতে পারব না। আমি কারও চেহারা দেখে মনোনয়ন দেব না। দেখে শুনে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নমিনেশন দেবো।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রায় সাড়ে সাতটা পর্যন্ত একটানা এই বৈঠকে দলের আরও ৭ জন এমপি বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান, রাজবাড়ির কাজী কেরামত আলী, লক্ষ্মীপুরের নুর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন, লালমনির হাটের মোতাহার হোসেন, চট্টগ্রামের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী, সংরক্ষিত আসনের সদস্য বরিশালের সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অ্যারোমা দত্ত।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।