অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের প্রতি শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ বন্ধ এবং দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই যুদ্ধ, সংঘাত ও অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসান ঘটাতে হবে। খবর বাসসের।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম সম্মেলনের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি এলডিসি থেকে বাংলাদেশের মসৃণ উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকারও চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইইউভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দেশজুড়ে হাই-টেক পার্ক নির্মাণে বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণীয় পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় আরও ভালো প্রস্তুতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সাফল্য কামনা করে এটি মানুষে মানুষে সংযোগ বাড়াতে কাজ করবে বলে আশাবাদগ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন<<>> আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন-ইউরো ঋণের জন্য ইআইবির সঙ্গে একটি যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে তিনি বলেন, আমাদের কৌশলগত সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।
বাংলাদেশের সড়ক, রেল ও বন্দর অবকাঠামো আঞ্চলিক অর্থনৈতিক করিডরের অংশ হিসেবে নির্মিত হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের স্থল-সংযুক্ত অঞ্চলগুলোকে বঙ্গোপসাগরের সুবিধা গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের বিমানবন্দরগুলো পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে সংযোগ একটি সাধারণ বন্ধনমূলক উপাদান।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।