ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত পিটার হাস। যিনি ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। তার গতিবিধি ও বক্তব্যের ওপর অনেকটাই সরকার ও বিরোধী দলের হিসাব-নিকেশ পাল্টে যায়।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন পিটার হাস। তখন আওয়াজ দিয়ে টানা ১০ দিনের ছুটিতে গেলেও আলোচনা-সমালোচনার শেষ ছিল না। আগে সরব থাকলেও দেশে ফিরে পিটার হাস অনেকটাই নীরবতা পালন করছেন। এ নিয়েও আলোচনা।
ক্ষমতাসীন দলের মিত্র নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী স্পষ্টই বলেছেন, দেশে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিকাণ্ডসহ অনেক কিছুই ঘটছে কিন্তু বিদেশিরা চুপ আছে। বিষয়টির লক্ষণ ভালো না। তার মতো অনেকেরই প্রশ্ন পিটাররা কী করছেন? ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও যেমন জানার চেষ্টা করেছেন, তেমনি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও।
রাষ্ট্রদূততে নড়াচড়া নিয়ে অনেকটাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একাধিক মন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় রীতিমতো শাসিয়েছেন যে, রাষ্ট্রদূত, রাষ্ট্রদূতের মতোই যেন চলাচল করেন। ভিয়েনা কনভেনশনের কথা মাথায় রাখার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
এদিকে ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিমাদের, বিশেষ করে খ্রিষ্টার ধর্মাবলম্বীদের আসছে বড় উৎসব বড়দিন। এহেন পরিস্থিতিতে তারা ঢাকা ছাড়ছেন। পাড়ি জমাচ্ছেন স্ব-ধর্মাবলম্বীদের কদরকরা দেশে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় নিযুক্ত বেশিরভাগ রাষ্ট্রদূত এখন ছুটিতে ঢাকার বাইরে আছেন।
অন্যান্যদের মতো পিটার হাসও সস্ত্রীক ভারত সফরে গেছেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ফ্লাইট নং- ইউকে-১৮৪) থেকে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পিটার হাস। তিনি ছাড়াও পৃথকভাবে বৈঠক করেন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
তবে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে তার এই ভারত সফরের সঠিক কারণ জানা যায়নি।
আপন দেশ/এব
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।