Apan Desh | আপন দেশ

গৃহকর্মী নিহত, বাড়ী ভাংচুর অগ্নি সংযোগ, ওসি আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

গৃহকর্মী নিহত, বাড়ী ভাংচুর অগ্নি সংযোগ, ওসি আহত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনশ্রীতে একটি বাসার সামনে থেকে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়িতে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। 

বনশ্রীর ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাসায় রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালের ঘটনা এটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন রামপুরা থানার ওসি মশিউর রহমানসহ তিন পুলিশ সদস্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভগের উপ কমিশনার হায়তুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, একজন গৃহকর্মী সেখানে মারা গেছেন। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে আমরা নিশ্চিত নই। বাড়ির সামনে তার মরদেহ পড়ে থাকায় উত্তেজিত জনতা সেখানে ভাঙচুর চালিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোরে হোসেন মঞ্জিল নামের ওই বাড়ির গেইটের সামনে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে জানা যায়, সেই নারী একজন গৃহকর্মী, তার নাম আসমা বেগম, বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর।  

তাকে হত্যা করা হয়েছে– এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আশপাশের বাড়ির গৃহকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমজীবীরাও সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।  

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়। একপর্যায়ে উচ্ছৃঙ্খলতা জনতা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। তারা ওই বাড়ির নিচতলায় ভাঙচুর চালায়। বাসার নিচতলায় থাকা দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। সেই আগুন পরে বাড়ির বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াছিন হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভবনটির মূল ফটকের সামনে ওই গৃহকর্মীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল।
তিনি বলেন, মরদেহ এমনভাবে পড়েছিল, তাতে মনে হয়েছে যেন কেউ শুয়ে আছে। ছাদ থেকে পড়েছে বলে তার মনে হয়নি।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, মরদেহটিতে তিনি কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখেননি।

ওসি মশিউর রহমান বলেন, বাড়ির মালিক সাবেক ট্যাক্স কমিশনার দেলোয়ার হোসেন। তার ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান। সকাল ৮টার পরে পুলিশকে ফোন করে খবর দেন, ওই গৃহকর্মী ‘ওপর থেকে পড়ে গেছেন’।

আসমা বেগম নামের ওই গৃহকর্মী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে কানিজ ফাতেমার মিরপুরের বাসায় থাকতেন। কানিজ ফাতেমা তিন দিন আগে গৃহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসেছিলেন।

ওসি বলেন, সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। আগে থেকেই কিছু লোক সেখানে জড়ো হয়ে ছিল, তারা বলছিল, মেয়েটিকে ‘মেরে ফেলা হয়েছে’।

‘খবর পেয়ে আমি নিজেও সেখানে যাই। আমি হেলমেট হাতে তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, ওই সময় তারা ইট পাটকেল ছোড়া শুরু করলে আমিসহ তিনজন আহত হই।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়