মো. আব্দুর রহমান। ছবি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
পণ্যের কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধিতে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। আজ বুধবার অধিদপফতরে এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
মো. আব্দুর রহমান বলেন, মানুষের মৌলিক বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দেয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধান কাজ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয় ইদানিং বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে বা আছে, তাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে। যারা কারসাজি করে মূল্য বৃদ্ধি করে মানুষকে কষ্ট দিতে চায়, তাদের কোন অবস্থাতে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। মানুষের স্বস্তি, মানুষের শান্তি, তাদের জান-মালের নিরাপত্তা-এ মৌলিক বিষয়গুলো অবশ্যই বর্তমান সরকার প্রাধান্য দেবে।’
এ সময় গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটা বড় ক্ষেত্র। তাই এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা এবং বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আরও উৎপাদন বাড়ানো, সত্যিকার অর্থে এটিকে বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেই এগোতে চাই।
আরও পড়ুন>> উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার। ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা নাহলে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রকৃত মৎসীজীবীদের একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা করা জরুরি। এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে। কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর পাশাপাশি অভয়াশ্রম সম্পৃক্ত এলাকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে তাদের জন্য ভিজিএফ’র পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।
কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপ-প্রধান মাসুদ আরা মমি। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী এবং নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।