মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল। সংগৃহীত ছবি
২০২৩ সালে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। জাতীয় নির্বাচনই ছিল এর কেন্দ্র। বাংলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী’ ব্যক্তিরা এর আওতাভুক্ত। মূলত তাদেরকে মার্কিন ভিসা না দেয়া ঘোষণা। এবার পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন, দেশটির রাজনৈতিক ইস্যু মার্কিন আলোচনায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গও উঠে আসে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ব্রিফিং করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রেস সচিব বেদান্ত প্যাটেল। তার কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ইরান ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, এবং সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়ে।
উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল জানান, দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনার বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটি ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক ইস্যু।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা
এ সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে আনেন এক সাংবাদিক। তিনি প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো ঘোষণা পাকিস্তানের জন্যও দেয়া হবে কিনা।
উত্তরে প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়াও বিশ্বের সব দেশেই নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) সহকারী প্রেস সচিব বলেন, টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। এ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তাসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী ওয়াশিংটন। পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও অংশীদারিত্ব বাড়াবে দেশটি।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।