ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টহলরত বিএসএফ, গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী, নিহত সহকর্মীর মরদেহ গ্রহণ করছে বিজিবি
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিন হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় বিএনপি। তারা জাতিসংঘের তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আর এখন সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। গত ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে বলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দাবি জানানো হয়।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গুলিতে নিহত হয়ে কাটাতারে ঝুলেছিল কিশোরী ফেলানীর মরদেহ। যা নিয়ে বিচার চলছে।
রিজভীর বিবৃতিতে বলা হয়, যশোর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা বিজিবির রইসুদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে। গত ২১ জানুয়ারি ভোরে ওই সীমান্তের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট-সংলগ্ন এলাকাযর ঘটনা এটি।
পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত উল্লেখ করে তিনি উল্লেখ করে বিএনপি। বলে, ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়তই প্রাণহানীর সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন <<>> সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
বিএনপি মনে করে, সিপাহী রইসুদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। বিএসএফ বছলে, ‘তিনি (নিহত ব্যক্তি) বিজিবির সদস্য তা তারা বুঝতেই পারেনি, তিনি লুঙ্গী ও টিশার্ট পরে ছিলেন এবং পাচারকারী দলের সঙ্গে তাকে ভারতের সীমানার ভিতরে দেখা গিয়েছিল। একজন বিজিবি সদস্য কিভাবে লুঙ্গী আর টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে মিশে থাকতে পারেন সেটি তাদের বোধগম্য নয়। এ বয়ান শুধু বানোয়াটই নয়, ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের ‘বিগ ব্রাদার’ সুলভ গরীমা থেকে উৎসাহিত হয়ে বিএসএফ তাদের হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। একজন বিজিবি সদস্য কখনোই লুঙ্গী ও টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন না।
বিবৃতিতে বলা হয়, এতদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। আর এখন সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। এটি গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, শেখ হাসিনার ক্ষমতা লোভের ফলশ্রুতিতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশকে আজ তাবেদার রাষ্ট্র বানানো হয়েছে। দখলদার আওয়ামী সরকার আজ দেশবিরোধী ঘৃণ্যচক্রান্তের ক্রীড়নক। সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিজিবি-কেও এখন বেঘোরে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।