ফাইল ছবি
ভারতকে দুটি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এটি নতুন কোনো খবর নয়। প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল সাত-আট বছর আগে। তাদের (ভারতকে) বন্দর ব্যবহারের সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে আমরাও কলকাতা বন্দর ব্যবহার করছি।’
গত মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার বিষয়ে কথা বলেন। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ‘ভারতীয়দের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ তার বন্দরগুলো (চট্টগ্রাম ও মোংলা) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে।’
আরও পড়ুন>> ভারতকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ
এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বন্দরগুলো (চট্টগ্রাম ও মোংলা) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তাদের দেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাস ও ট্রেন চলাচল করছে।
‘দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে শিলিগুড়ি-আসাম হয়ে যেতে হতো। বাংলাদেশ অনুমতি দেয়ায় সেই যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন হবে। তার প্রভাব ভারতের অর্থনীতির উপরে পড়বে।’
জয়শঙ্কর আরও বলেন, আগরতলা-আখাউড় রেল যোগাযোগের ফলে ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের সময় ও দূরত্ব কমে যাবে। বৃহত্তর বাজারে প্রবেশ, পণ্য পরিবহন ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে।
আারও পড়ুন>> ‘চীনের কাছে নত হবো না, ভারতের ভয় নেই’
মুম্বাইয়ে জয়শঙ্করের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, মালদ্বীপের পর বাংলাদেশেও ‘ভারত খেদাও’ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এটা কী ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা?
জবাবে ব্যর্থতার অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, ‘চীন একটি বড় অর্থনীতির দেশ। তারাও তাদের প্রতিবেশীদের (মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ) প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার এ যুগে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।’
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
