ছবি: সংগৃহীত
বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক গৌরবোজ্জ্বল দিন- মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ থেকে ৭২ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা।
দিনটি বাঙালির ইতিহাসে একইসঙ্গে শোক আর গৌরবের। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মন্ত্রিসভার সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
তাদের পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন৷
তিন বাহিনীর প্রধানেরা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারাও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন <> ভাষা শহীদদের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে।রাত থেকেই কালো ব্যানারে ছেয়ে যায় শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকা।ভোরের আলো ফুটতেই ব্যানার নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পথে আসতে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
এ ছাড়া অনেকে আসছেন পরিবার ও ছোট শিশুদের নিয়ে। অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে ও হাতে লেখে রেখেছেন একুশের বিভিন্ন স্লোগান। যেখানে লেখা রয়েছে- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’, ‘বাংলা ভাষা অমর হোক’, ‘বাংলা আমার মায়ের ভাষা’ ইত্যাদি।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে পুরো শহীদ মিনার এলাকাকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রং-তুলিতে শহীদ মিনারের বেদীসহ আশপাশের এলাকায় আলপনা আঁকা হয়েছে। শহীদ মিনার আবাসিক এলাকার দেয়ালে লেখা হয়েছে বিখ্যাত কবি লেখকদের উক্তি।
নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুরো এলাকাকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনার পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রণীত রুটম্যাপ কার্যকর করা হয়েছে।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।