Apan Desh | আপন দেশ

অনেক দায়ীকে দেখিয়ে দিলেন আশরাফুল আলম খোকন

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ২ মার্চ ২০২৪

অনেক দায়ীকে দেখিয়ে দিলেন আশরাফুল আলম খোকন

আশরাফুল আলম খোকন

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। চিকিৎসাধীন আছেন কয়েকজন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন অনেকে। মানববন্ধন করে জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়াও।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপপ্রেস সচিব, সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন। তার পোষ্টের মাধ্যমে উঠে এসেছে বেইলি রোড়ে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী কারা। খোকন হতাশার কথাও জানিয়েছে- আদৌ দোষীদের বিচার হবে কিনা। 

তিনি লিখেছেন, ‘সব দোষ তোর, আগুন, তুই লাগলি ক্যান...’

খোকন বলেন, ‘ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় দুটি রেস্টুরেন্টের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দোষ অবশ্যই আছে। পুলিশ ভাইয়েরা, এতে মূল হোতারা দূরে রয়ে গেলো না? রাজউক বলছে, ভবনটিতে নাকি রেস্তোরা করার অনুমোদন ছিল না। এতগুলো মানুষ পুড়ে মারা যাবার পর এটা রাজউকের চোখে পড়লো? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? এ ভবন যে রেস্তোরাঁর জন্য বিখ্যাত, এটা কে না জানে? শুধু জানেন না রাজউকের কর্তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি এ ভবনে রেস্টুরেন্টের অনুমোদন নাই থাকবে, তাহলে সিটি করপোরেশন তাদেরকে ট্রেড লাইসেন্স দিলো কিভাবে? বছর বছর নবায়ন করছে কিভাবে? সিটি করপোরেশন ম্যাজিস্ট্রেটরা, হিরোইজম দেখানোর জন্য মিডিয়া নিয়ে গিয়ে, কাচ্চির রং আসল না নকল, তা পরীক্ষা করেন। তখন কি তারা পরীক্ষা করেছিলেন, খোদ রেস্টুরেন্ট করারই অনুমোদন আছে কিনা?’

‘যখন বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দেয়া হয়, তখন কি কর্তৃপক্ষ দেখেছিলো ওই ভবন বা ফ্লোরে রেস্টুরেন্টের অনুমোদন পত্র আছে কিনা? না দেখে থাকলে তারা কি অপরাধী নন? যে ভবন মালিক ভাড়া দিলো এবং নিয়মিত ভাড়া নিচ্ছেন, তিনি তো জানতেন তার ভবনে রেস্টুরেন্ট করার অনুমোদন নাই। তিনি ভাড়া দিলেন কিভাবে?

এ ভবনের স্থাপত্য কলায় অগ্নিনিরোধক যাবতীয় ব্যবস্থা ছিল কিনা আমার জানা নাই।’

আশরাফুল আলম খোকন আরও বলেন, ‘রেস্টুরেন্টের কর্মকর্তাদের সাথে সাথে, এইসব দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। হয়তো, এদের কারোই কিছুই হবে না। তাই বলা যায়, সব দোষ আগুনের। আগুন তুই লাগলি ক্যান?’

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখানে যে ১১ জন ভর্তি হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছয়জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

আহতদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

রমনা থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভবন মালিকের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যরা হলেন ওই ভবনে ‘চুমুক রেস্তোরাঁ’ দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান। তাদেরকে শুক্রবার বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়