ছবি : আপন দেশ
বেইলি রোড়ে গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে দগ্ধ মেহেদী হাসানের চিকিৎসা চলছে বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেদিনের মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীন থেকে এক বন্ধু এসেছেন। স্ত্রী উম্মে হাবিবাকে নিয়ে ওই বন্ধুর সঙ্গে বেইলি রোডে খেতে গিয়েছিলাম। খাবারের মেনু মাত্র হাতে, ঠিক তখনই আগুন, আগুন শব্দ। মেহেদী হাসান বলেন, ‘ওই দিনের আগুনের বিমর্ষ ছবি আর মনে করতে চাই না ভাই।’
এ সময় বুকে কষ্ট বুঝেই মেহেদির কাছ থেকে জানার চেষ্টা করিনি।
বেইলি রোডের ওই ভবনের আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা কেউ ‘শঙ্কামুক্ত’ নন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, ভবনটিতে রেস্তোরাঁ বা পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।
আগুনের ঝুঁকি ও অনুমোদন না থাকার পরও ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল বছরের পর বছর ধরে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সেখানে খেতে ভিড় করেছিলেন নগরের বাসিন্দারা। কেউ গিয়েছিলেন শিশুসন্তানদের নিয়ে, কেউ গিয়েছিলেন স্বজনদের নিয়ে, কেউ গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। কারও কারও জীবন চলত ওই ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।