ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে। দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা জাগ্রত তারা। তাই বিশ্বমানের স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই তাদেরকে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধে বিজিবি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্যও কাজ করছে বিজিবি। রোহিঙ্গাদেরও নিরাপত্তা দিচ্ছেন বিজিবির সদস্যরা। রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়ায় যাইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারবো।
তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারাই ক্ষমতা এসেছে, সীমান্ত চুক্তি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। ছিটমহল বিনিময় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। এতে বিজিবিও কাজ করেছে।
আরও পড়ুন <> বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আজ
সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা এর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিট সুন্দরভাবে সীমান্ত রক্ষা, সীমান্তে অপরাধ দমনে কাজ করতে পারছে। ২০১৫ থেকে এই বাহিনীতে নারী সংযুক্ত হচ্ছে। তারা বেশ স্মার্ট, আজকে আপনারা দেখলেন।
বিজিবি সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড একটি বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে চেইন অব কমান্ড এবং কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলতে হবে।
সকালে সাড়ে ৯টায় পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পরে বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবির ৭২ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন এবং জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত প্রেরণা ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন। এরপর বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অঅপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।