ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বেইলি রোড ট্র্যাজেডিতে ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়। এরপরই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে প্রশাসনের। অবৈধ রেস্টুরেন্ট বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সাত মসজিদ রোডের আলোচিত গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ছাদে অবৈধভাবে গড়ে তোলা রেট্রো রুফটপ রেস্টুরেন্ট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সিলগালাও করা হয়েছে বেশ কয়েকটি।
অফিসের অনুমোদন নিয়ে ১৫তলা ভবনটিতে পরিচালিত হচ্ছে রেস্টুরেন্ট। কথা ছিল উন্মুক্ত থাকবে ছাদ। তবে কে শোনে কার কথা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ভবনটিতে ভাড়া দেয়া হয়েছে ১৫ রেস্টুরেন্ট।
এ ভবনটি নিয়েই সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন এর স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। নিজের নকশা করা ভবনে কাউকে না যেতে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন>> বেইলি রোড ট্রাজেডি: আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা
অনিয়মের নানা অভিযোগ পেয়েই সোমবার (৪ মার্চ) অভিযানে নামে রাজউক। শুরুতেই গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ভবনের ছাদে রুফটপ দুটি রেস্টুরেন্ট। এরপর একে একে অভিযান চালানো হয় বাকি রেস্টুরেন্টগুলোতেও। এ সময় ছুটে আসেন ভবনটির দায়িত্বে থাকা আইনজীবী। শুরু হয় তর্কবিতর্ক। এমনকি ভবনটির স্থপতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেন ভবন সংশ্লিষ্টরা।
শেষ পর্যন্ত ছাদে থাকা দুটি রেস্টুরেন্ট ভেঙে দেয়া হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় রাজউক। এক পর্যায়ে অনিয়মের কথা স্বীকার করে ছয় মাস সময় চায় কর্তৃপক্ষ। নিয়ম বহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্ট বন্ধে এমন অভিযান চলবে বলেও জানানো রাজউক।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটি রাজউক থেকে অফিস করার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এখানে এসে দেখছি অবৈধভাবে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা ছাদের রেস্টুরেন্ট ভেঙে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘রাজউকের নকশায় স্পষ্টত এখনো দেখানো হচ্ছে ভবনের ছাদ খোলামেলা। তারপরও কীভাবে এখানে রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।’
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।