Apan Desh | আপন দেশ

নারীদের সমান সুযোগ দিতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৮ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১২:২৫, ৮ মার্চ ২০২৪

নারীদের সমান সুযোগ দিতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের সমান সুযোগ দিতে চাই। বর্তমান সরকার নারীর অগ্রযাত্রায় কাজ করছে। আওয়ামী লীগ সব সময় ক্ষমতায় থেকে নারীদের অগ্রযাত্রায় কাজ করে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। নারীরাও যেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে অংশগ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, জাতির পিতা নারীদের প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে নারীরা আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব যায়গায় নারীরা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

এর আগে সকাল ১০টায় উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে জয়িতা সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মাননা পাওয়া পাঁচ জয়িতা হলেন- ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।

এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

বৃহস্পতিবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জয়িতাদের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে বলা হয়, ময়মনসিংহের আনার কলি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।

আরও পড়ুন <> গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮৩

ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা কল্যাণী মিনজি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেন। বর্তমানে তিনি সোনাদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এ ছাড়া সিলেটের কমলী রবিদাশ একজন সফল জননী। মাত্র ১৮ টাকা দিন মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এক ছেলেকে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তার ছেলে বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

বরগুনার জাহানারা বেগমের ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী তাকে অ্যাসিডে দগ্ধ করেন। পরে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী জয়িতা হিসেবে প্রমাণ করেন।

খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া নিজের জনগোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন।

সম্মাননা পাওয়া প্রত্যেক জয়িতাকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ দেয়া হয়।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়